আদিবাসী নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ফাইল চিত্র।
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তপনে আদিবাসী তৃণমূল প্রার্থী কল্পনা কিস্কুর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁকে ফের বালুরঘাটে পুরভোটের কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। জেলা নেতাদের একটি অংশের দাবি, বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর পুর এলাকায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে। সেখানে গিয়ে প্রচার করতে পারেন তিনি। বুধবার বোল্লায় রক্ষাকালী মন্দিরে পুজো দেন বীরবাহা। পরে পতিরামে পথসাথীতে জেলার আদিবাসী নেতাদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেছেন।
তফসিলি জাতি সংশাপত্র বিলি থেকে শুরু করে আদিবাসীদের জন্য জয় জোহার, প্রকল্প জেলাতেও চালু রয়েছে। সম্প্রতি জেলাতে আদিবাসী পরিবারগুলির জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে পুষ্টিবাগান প্রকল্প। কিন্তু তারপরেও জেলার একটি অংশ বিশেষ করে বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর শহরের বেশ কিছু আদিবাসী পরিরার এখনও শাসক দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে বলেই খবর। তাই পুরভোটের আগে জল মাপতে ফের হাজির হয়েছেন বীরবাহা। দলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, ‘‘বালুরঘাটের সঙ্গে মন্ত্রী বীরবাহার সম্পর্ক ভাল। তিনি তপনে কল্পনার প্রচারেও এসেছিলেন। আমরা প্রয়োজনে তাঁকে বার বার পেতে পারি।’’
দুয়ারে সরকার সম্প্রতি শেষ হয়েছে। জেলা তৃণমূল আদিবাসী সেল সূত্রে খবর, বীরবাহা এসে আদিবাসী নেতাদের খোঁজ নিয়ে বলেছেন, কোন কোন প্রকল্পের সুবিধা এখনও আদিবাসী সমাজের মানুষ পাচ্ছেন না, তা গ্রামে গ্রামে গিয়ে খোঁজ করতে। রেশন পাচ্ছেন কি না। পেতে গিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেগুলিই আরও একবার খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই সেলের নেতারাও নেমে পড়েছেন সেগুলির খোঁজে।
তৃণমূল জেলা আদিবাসী সেলের সভাপতি তথা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যােন সন্তোষ হাঁসদা বলেন, ‘‘পুরসভা এবং আগামী পঞ্চায়েত সামনে রেখেই লড়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। পুরভোটের প্রচারেও তাঁর আসার কথা।’’ সম্প্রতি তপন ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকা বালুরঘাট পুর এলাকায় নতুন কয়েকটি ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে বালুরঘাট পুরসভা এলাকাতেও অন্তত হাজার দশেক আদিবাসী ভোটার রয়েছেন। কয়েক হাজার আদিবাসী রয়েছেন গঙ্গারামপুর পুর এলাকাতেও। কী কারণে তাঁদের একটি অংশ এখনও দূরে সরে রয়েছেন, কী কী সুবিধা পাননি। সে সব খতিয়ে দেখার উপর জোর দিয়েছেন তৃণমূল নেতারাও।