দলের পুনর্বিন্যাস, গুরুত্ব বাড়ল পুরনোদের
TMC

শঙ্করকে সরিয়ে পদে, খুশি বিপ্লব

দলে ফিরলেও বিপ্লবকে কোন পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়েও ‘চাপে’ ছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। অবশেষে বিপ্লবকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন দলনেত্রী।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস 

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে জেলার চেয়ারম্যান করল তৃণমূল। প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীকে সরিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা বিপ্লবকে চেয়ারম্যান করতেই শুক্রবার বিপ্লব অনুগামীরা উচ্ছ্বাস দেখাতে শুরু করেন। তবে দলের একটা অংশ এই সিদ্ধান্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা করছেন বলে খবর।

Advertisement

গত লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিপ্লব। তারপর প্রায় এক বছর বিজেপিতে থেকে গত অগস্টে ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকে পদহীন অবস্থায় দলের রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসেছিলেন এই বর্ষীয়াণ নেতা। তবে বিপ্লবকে যে পদে ফেরানো হবে তা নিয়ে অনুগামীরা অনবরত প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে এ দিন আর এক বর্ষীয়াণ নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে বিপ্লবকে সেই জায়গায় বসানো হল।

এ দিন কলকাতার দলীয় অফিস থেকে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এই ঘোষণা করেছেন বলে বিপ্লব জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে নিযুক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে জেলার ছয়টি বিধানসভায় জেতার দায়িত্বও দিয়েছেন। এ বার সাংগঠনিক কাজ আরও ভাল ভাবে করা যাবে।’’

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, চেয়ারম্যান হিসেবে শঙ্কর চক্রবর্তীর কাজকর্মে সন্তুষ্ট ছিল না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডে থেকেও কাজ না করে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছিল শঙ্করের বিরুদ্ধে। এ সব নিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ছিল দল। অন্য দিকে, দলে ফিরলেও বিপ্লবকে কোন পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়েও ‘চাপে’ ছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। অবশেষে বিপ্লবকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন দলনেত্রী।

এ বিষয়ে শঙ্করের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিপ্লবের এই পদ পাওয়া নিয়ে দলের একটা অংশ বলছেন, এই সিদ্ধান্ত অনেক আগে নিলে ভাল হতো৷ তাতে সংগঠন গোছাতে সুবিধে হতো। এখন ভোটের আগে এই অল্প সময়ে সংগঠনের হাল আদৌ কতটা শক্ত করতে পারবেন বিপ্লব, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। তবে দলের কর্মীদের মধ্যে যে নতুন করে উদ্দীপনা শুরু হয়েছে তা ফেসবুকে অনুগামীদের উচ্ছ্বাসে ভরা পোস্ট দেখেই বোঝা গিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস অবশ্য বলেন, ‘‘আমার কাছে অফিসিয়াল কোনও নির্দেশ বা খবর আসেনি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement