পথে: কার্শিয়াংয়ে মিছিলে বিনয় তামাং। নিজস্ব চিত্র
কিছু দিন আগেই দার্জিলিং মোটরস্ট্যান্ড থেকে কার্শিয়াং মোটরস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার হেঁটে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিনয় তামাংয়ের অনুগামী মোর্চার সদস্য সমর্থকেরা। শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে তৃণমূলের সহযোগী পাহাড়ের দুই নেতা বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা না থাকলেও পাহাড়ের বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা যোগ দিয়েছিলেন। রবিবার কার্শিয়াঙের মোটর স্ট্যান্ড থেকে সমতলের সুকনা পর্যন্ত র্যালি হল বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের নেতৃত্বে। শুরু থেকে বিনয় মিছিলে হেঁটেছেন। এনআরসি, সিএএ এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে এদিন মিছিল করেন তাঁরা।
এদিন দেখা যায় মিছিল বিভিন্ন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানকার সাধারণ বাসিন্দারা অনেকে পা মেলান। সব ঠিক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি পাহাড়ে এনআরসি এবং সিএএ’র বিরোধিতায় মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর তাতে মোর্চার কর্মী সমর্থকদের শামিল হওয়ার কথা।
পাহাড়ে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধিতায় ২৯ ডিসেম্বর বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিনয় অনুগামী মোর্চার যুব সংগঠন। কিন্তু বড় দিনে পর্যটনের মরসুমে বন্ধ হলে পর্যকদের দুর্ভোগ বাড়বে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পর্যটন সংস্থাগুলো তাই বন্ধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়। এ সময় পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উৎসবও রয়েছে। সে সব দিক ভেবে বিনয় তামাং বন্ধ তুলে নিতে অনুরোধ করলে তা তুলে নেওয়া হয়। তবে তারা যে এনআরসি, সিএএ বিরোধিতা থেকে সরছেন না সেই বার্তা দিতে র্যালির আয়োজন করা হয়।
মোটরস্ট্যান্ড থেকে বিনয় আগেই বলেছিলেন, এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে পাহাড়ে আন্দোলন চলবে। সেই মতোই এ দিনের মিছিলের আয়োজন করা হয়। মোর্চা সূত্রে জানানো হয়েছে, পর্য়টকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর রেখেই এই আন্দোলন চলবে। তুষারপাতের জন্য এখন পাহাড়ে আবার পর্যটকের ভিড়ের আশা রয়েছে।