ফাইল চিত্র।
দার্জিলিং পাহাড়ে আপাতত ‘কোণঠাসা’ জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং নতুন করে পাহাড়ে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারেও তিনি নারী এবং যুব মোর্চাকে সামনে রেখে, নতুন করে সংগঠনকে মজবুত করতে চাইছেন। রবিবার দার্জিলিং মালিধূরায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পরে কাজেও নেমে পড়েছেন গুরুং। সোমবার দার্জিলিং মহকুমার নারী মোর্চার নতুন কমিটি গঠন করেন। সেখানে ঘরে বসে যাওয়া অনেককে ফের রাজনীতির ময়দানে আনার চেষ্টা শুরু করেছেন। তবে ২০১৭ সালের পর বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে তিনি কতটা সফল হবেন, সে প্রশ্ন ঘুরছে পাহাড়ে।
গুরুং এ দিন বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় কমিটিতে কিছু রদবদল হবে। যুব এবং নারীদের নতুন করে এক জোট করা হচ্ছে। আমি থাকি বা না থাকি, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর আলাদা রাজ্যের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরাই সামনে আসবে।’’
মোর্চা সূত্রের খবর, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল অবধি পাহাড়ের কার্যত ‘রাজা’ ছিলেন গুরুং। কিন্তু ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নেমে বিপাকে পড়েন গুরুং। খুন, দেশদ্রোহিতা থেকে একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা জডিয়ে তিনি পাহাড়ছাড়া হন। টানা সাড়ে তিন বছর বিজেপির সঙ্গে থেকেও পাহাড়ে ফিরতে পারেননি। শেষে, তৃণমূলকে সমর্থন করে বাড়ি ফেরেন।
ততদিনে পাহাড়ের চেহারা বদলে গিয়েছে। অনীত থাপা, বিনয় তামাং এবং শেষে অজয় এডওয়ার্ডেরা পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। বিধানসভা ভোট, পুরভোটে লড়ে গুরুং বুঝে যান, তাঁর দলের গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে। আন্দোলন, বন্ধের রাজনীতি পাহাড়ে আর চলবে না। জিটিএ ভোটে তাই আর লড়েননি। ভোট বন্ধের দাবিতে অনশন করলেও, তাতে সাড়া পাননি। শেষে, সিকিমে চিকিৎসা করিয়ে এসে ফিরে ঘরেই ছিলেন। নতুন করে আবার আলাদা রাজ্যের কথা বলে ময়দানে নামার চেষ্টা শুরু করেছেন।
অনীত, অজয়েরা অবশ্য গুরুংকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের পাহাড়ের এক নেতা বলেন, ‘‘গুরুং বরাবর যুব এবং নারীদের রাস্তায় নামিয়ে আন্দোলন করিয়েছেন। এ বার নিজের দল বাঁচাতে তাই করার চেষ্টা করছেন। তবে তাতে এ বার খুব একটা লাভ আর হবে না।’’