বিমল গুরুং ফাইল চিত্র।
বিমল গুরুংয়ের মোর্চার ডাকা কালিম্পং বৈঠক কি শেষে লঘুক্রিয়ায় পর্যবসিত হল?
বৈঠকে যে ভাবে আমন্ত্রিতেরা গরহাজির ছিলেন, তা দেখে পাহাড়ে এখন এই প্রশ্নই উঠেছে। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় যেটা তা হল, বিমল নিজে কালিম্পঙে থাকলেও এ দিনের বৈঠকে তাঁকে দেখা যায়নি। বৈঠকে যাননি দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাও। যদিও তিনি জানিয়েছেন, সংসদে কাজ থাকায় আসতে পারেননি।
অন্যদিকে, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ডাক পাওয়া সত্ত্বেও ছিলেন না হরকাবাহাদুর ছেত্রী। বাকিরা অবশ্য এসে নিজেদের মত জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে মোর্চার সচিব রোশন গিরি বলেন, ‘‘স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের উপর বিশিষ্টদের, মানুষজনের কথা আমরা শুনেছি। তার উপর ভিত্তি করে আমরা খসড়া তৈরি করব। তা মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দেওয়া হবে।’’
স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের সেই খসড়ায় কি থাকবে, সে বিষয়ে কোনও আভাস এ দিন দিতে পারেননি মোর্চার নেতারা। রোশন গিরির কথায়, ‘‘কী হবে, কোনও সমস্যার সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
এত দিনেও পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের খসড়া করা গেল না কেন? মোর্চা নেতৃত্বের দাবি, এই সেমিনার আগেই করার কথা ছিল। কোভিডের কারণে দেরি হয়ে গিয়েছে। এ বার দ্রুত খসড়া করে তাঁরা বিষয়টি জানাবেন।
এ দিন সেমিনারে মহেন্দ্র পি লামা দাবি করেন, ভারতীয় সংবিধানের ২৪৪ ‘এ’ ধারায় রাজ্যের মধ্যে রাজ্য করার কথা। তবে রোশন গিরি বলেন, ‘‘স্থায়ী সমাধান হিসেবে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা কখনওই দেবে না। রাজ্য সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন দিতে পারে। তার উপরই আমরা কথা বলব।’’
এ দিন আলোচনাসভায় থাকার জন্য বিজেপি, তৃণমূল, হামরো পার্টি, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। তাঁরা অবশ্য কেউই আসেননি এ দিনে সেমিনারে। দলের তরফে কেউ কোনও প্রতিনিধিও পাঠাননি। তা নিয়েও পাহাড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। খোদ বিমল গুরুংই বা কালিম্পঙে থাকলেও কেন গেলেন না, তা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে।