রাজু বিস্তা। ফাইল ছবি
এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় কি এক লক্ষ গোর্খার নাম বাদ গিয়েছে? এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একটি অংশে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার ধাক্কা সরাসরি গিয়ে লেগেছে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে। সেই ধাক্কার জোর বাড়াতে প্রচারে নেমে বিনয় তামাংরা বলছেন, ‘‘এমনটা যে হবে, সেটা তো আমরা আগেই বলেছিলাম।’’ ধাক্কার অভিঘাত সামলাতে তাই এ বারে মুখ খুলতেই হল দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং পাহাড়ের ফেরার নেতা বিমল গুরুংকে। রাজুর দাবি, এটা গুজব, প্রকৃত তথ্য না জেনেই নানা কথা ছড়ানো হচ্ছে। গুরুংও তাঁর সঙ্গে একমত।
বিনয়পন্থী মোর্চা অবশ্য এই সুযোগ ছাড়তে চাইছে না। বুধবার দার্জিলিঙে বৈঠকে বসছে তারা। সেখান থেকে বড় আন্দোলনের ঘোষণা করতে পারেন বিনয় তামাং। লোকসভা ভোটের সময়ে বিনয়ই প্রথম দাবি করেছিলেন, এনআরসি-র ফলে বিপদে পড়বেন গোর্খারা। কারণ, দার্জিলিঙের আশি ভাগ গোর্খার জমির কাগজই নেই। অগস্টের শেষে অসমে এনআরসি-র যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পায়, সেখানে লক্ষাধিক গোর্খার নাম নেই বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। বিনয় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা লাগাতার আন্দোলন চালাব। গোর্খাদের প্রতি বিজেপি এবং গুরুংদের যে নূন্যতম সন্মান নেই, সেটা তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন।’’
বেগতিক দেখে তৈরি হচ্ছেন গুরুংরাও। সূত্রের খবর, এনআরসি নিয়ে বিমলপন্থী মোর্চার অন্দরেই তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। দলের নেতাদের একাংশ এখনই গোর্খাদের পাশে থাকার জোরালো বার্তা দিয়ে আন্দোলনে নামার পক্ষে মত দিয়েছেন। ঠিক যে কাজটা করছেন বিনয় তামাং। অন্য অংশ জোট-ধর্ম বজায় রেখে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়ার পক্ষপাতী।
এনআরসি নিয়ে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের জন্য দলের মুখপাত্র বিপি বজগাইকে এর মধ্যেই দায়িত্ব দিয়েছেন বিমল।