অভিযুক্ত রাহুলকুমার সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
একে একে ছয় যুবতীকে বিয়ে করে তাঁদের টাকাপয়সায় দিব্যি ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছেন। বিহারের এক যুবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের একাধিক আদিবাসী যুবতীর। রবিবার রাতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। খবর পেয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে মাল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদতে বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা রাহুলকুমার সিংহের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাল ব্লকের নেওরানদী চা বাগানের মহিলা প্রেমা সিংহ। পুলিশের কাছে প্রেমার দাবি, তাঁর স্বামী রাহুল আসলে প্রতারক। তাঁকে ছাড়াও একাধিক যুবতীকে বিয়ে করেছেন তিনি। ওই যুবতীদের ঠকিয়ে তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগপত্রে প্রেমা লিখেছেন, ‘দু’বছর আগে রাহুলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। রবিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার জেলার পাটকাপাড়া এবং ধওলাঝোড়া চা বাগানের বাসিন্দা রজন্তী মিঞ্জ এবং লক্ষ্মী মাহালি নামে দু’জন যুবতী বাড়িতে এসে জানান যে, আমার স্বামী রাহুলকুমার সিংহ তাঁদেরকেও বিয়ে করেছেন। রাহুলের আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন।’ প্রেমার আরও অভিযোগ, বহু আদিবাসী মহিলাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আদায় করেছেন রাহুল। মাল থানার আইসি সুজিত লামা বলেন, “অভিযুক্তকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাহুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার আগে রবিবার রাতেই নেওরানদী চা বাগান থেকে ধরে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন ওই যুবতীরা। রাতে মাল থানার সামনে দাঁড়িয়ে দুই যুবতীর অভিযোগ, তাঁদের বিয়ের পর বহু বার আর্থিক প্রতারণাও করেছেন রাহুল। ওই যুবতীদের দাবি, মোট ছ’জনকে বিয়ে করেছেন অভিযুক্ত।
এই ঘটনার পর অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন আদিবাসী মহিলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি-র কার্যকরী সভাপতি বিনয় মুর্মু। তিনি বলেন, “নানা সময়েই এ ধরনের ঘটনা সামনে আসছে। আদিবাসী মহিলাদের প্রতারণা বা বিয়ের নাম করে সহবাস করছে বিভিন্ন ব্যক্তি। এই যুবক একাধিক আদিবাসী মহিলাকে বিয়ে করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এঁর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”