শহর শিলিগুড়ি এই মুহূর্তে একটি জংশন। রাজ্য, ভিন্রাজ্য যেমন রয়েছে তেমনই নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের ভিড়। শহরকে সুস্থ ভাবে বাঁচতে দ্রুত শহরের পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। রাজনৈতিক দোলাচলে কতটা পরিষেবা দিতে সক্ষম হল শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন? আসন্ন পুর নির্বাচনে কোন দিকগুলোর কথা মাথায় রেখে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ? রাস্তাঘাট যেমন রয়েছে ঠিকই আছে। কিন্তু সমস্যা রয়েছে ফুটপাত দখল, শুধু তাই নয় শহরের হিলকার্ট রোড থেকে শুরু করে বিধান রোডে যে সমস্ত দোকান রয়েছে তার সিংহ ভাগ জিনিস দোকানের বাইরে। পার্কিং লট নেই। জায়গার অভাবে রাস্তার পাশে গাড়ি রাখলে আবার পুলিশ এসে তালা লাগিয়ে দিচ্ছে। পার্কিং করতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়, যদি না দোকানের দখল থাকে। শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের বাটা থেকে সেবক মোড়— কথা শোনার কেউ নেই। পুলিশকে জানালে তারা বলে, নেতা-মন্ত্রীদের বলুন। দিনের প্রতিটা সময়ে আমাদের সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হয়।
পরিচ্ছন্নতায় একেবারে জিরো। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। পাশাপাশি হোর্ডিংয়ে দৃশ্য দূষণ। শরেরর সেই সৌন্দর্য আর নেই।
আগের তুলনায় পানীয় জলের পরিষেবা অনেকটাই ভাল।
নিকাশি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিটি নর্দমায় বৃষ্টির দিনে জল জমে থাকে। হাঁটু জল থাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সামনে। একটু নিচু এলাকা যেগুলো রয়েছে সেগুলো বর্ষাকালে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত আলো রয়েছে।
প্রথমত, পার্কিং ব্যবস্থা সঠিক করতে হবে। শহরকে বাঁচাতে হলে যানজট মুক্ত করতে হবে শহরকে। প্রয়োজনে বাস স্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করতে হবে। দখলমুক্ত করতে হবে ফুটপাথ।