ফের খুলছে ভুটানের দরজা।
আড়াই বছর পরে খুলছে ভুটানের দরজা। এ দিন প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিরা জলপাইগুড়িতে এসে জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে আমন্ত্রণ জানান তাঁদের দেশে যাওয়ার জন্য। করোনা-আবহে ভুটান সে দেশে যাওয়া নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। খুলছে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের প্রবেশপথও। ভুটান প্রশাসন চাইছে, জলপাইগুড়ি থেকে যেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারেরা পুজোর আগে ভুটানে যান। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে আসেন ভুটানের সামসিং জেলার জেলাশাসক পাসাং দোর্জি ও পুলিস সুপার লন্ড্রুপ দোর্জি। জানা গিয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভুটানে প্রবেশ করতে হলে আগে থেকে নাম, তথ্য প্রভৃতি নথিবদ্ধ করাতে হবে। সে দেশে ঢোকার সময় লাগবে ভারতীয় ভোটার কার্ড বা পাসপোর্ট এবং শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মের শংসাপত্র।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে ভুটানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এবং জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। জলপাইগুড়ির বানারহাটে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগের দরজা ‘চামুর্চি গেট’। এই প্রবেশপথ দিয়ে পর্যটকেরা যেমন যাতায়াত করেন, তেমন বাণিজ্যিক আদানপ্রদানও চলে। আগামী সপ্তাহে সে পথও খুলতে চলেছে। পর্যটকদের রাজস্বে ভুটানের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিরা।
এ দিন পাশাং দোর্জি বলেন, ‘‘করোনাকালে ভারতের সাহায্য পেয়েছি। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাহায্য পেয়েছি। দীর্ঘ সময় পরে, আবার ভুটানে পর্যটকেরা ঢুকবেন। তাই জলপাইগুড়ির জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে আমন্ত্রণ জানালাম।’’ সামসির জেলাশাসক বলেন, ‘‘কিছু নিয়ম-বিধি পর্যটকদের মানতে হবে। সেগুলি মোটেই কড়া নয়।’’ এ দিন কালিংম্পং জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও ভুটানের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, ‘‘ভুটানের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ আমরা গ্রহণ করেছি। পর্যটকদের যাতায়াত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’’