Bharatiya Janata Yuva Morcha

মোর্চার কর্মসূচি, ধুন্ধুমার এলাকায়

পরিবারের দাবি, নাবালিকার দেহ সনাক্তকরণে গাফিলতি করেছিল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২৪
Share:

ধুন্ধুমার: মাটিগাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির যুব মোর্চার। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় যুব মোর্চার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল হল মাটিগাড়া থানা চত্ত্বর। থানার সামনে পথ অবরোধে বাধা পেয়ে থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন যুব মোর্চার সমর্থকেরা। ৭ ফেব্রুয়ারি এনজেপি থানার নৌকাঘাট থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রী এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ওই রাতেই নাবালিকার পরিচয় উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল সে। নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিল পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরিবারের দাবি, নাবালিকার দেহ সনাক্তকরণে গাফিলতি করেছিল পুলিশ। সেই অভিযোগ সামনে রেখেই থানার সামনে বিক্ষোভ এবং পথ অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাকে কেন্দ্র করেই থানার ভিতরে পুলিশের সঙ্গে যুব মোর্চার কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, নাবালিকা নিখোঁজ মামলায় কোনও গাফিলতি হয়নি।

Advertisement

যুবমোর্চার দাবি, দেহ উদ্ধারের পরে পরিচয় জানার পরেও পরিবারকে দ্রুত জানানো হয়নি। নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার আগে অভিযোগ নেওয়া হবে না। যুবমোর্চার দার্জিলিং জেলা সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ বলেন, ‘‘মাটিগাড়া থানা এলাকায় নাবালিকাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধ হয়ে চলেছে, আর পুলিশ তদন্ত না করে দেখছে, কোন বালির লরি থেকে বেশি পয়সা তোলা যায়।’’ অবিলম্বে অপরাধীদের ধরতে হবে বলে দাবি মোর্চার নেতাদের। এ দিন মোর্চা নেতাদের সঙ্গে মেয়েটির বাবা এবং মা ছিলেন। তাঁদের দাবি, দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। যদিও নিখোঁজ মামলায় সন্দেহের তালিকায় তাঁরা কাউকেই রাখেননি। দেহ উদ্ধারের পরে নতুন করে কোনও খুনের অভিযোগও তাঁরা দায়ের করেননি জানিয়েছে পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘মেয়ের বাবার সঙ্গে থানার ওসি নিজেই কথা বলেছেন। এনজেপি থানা থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি মাটিগাড়া থানায় জানানো হয়। তখনই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।’’

পুলিশের এই যুক্তি মানতে নারাজ মোর্চা নেতারা। এ দিন দুপুরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ওসি সুবল ঘোষকে না পেয়ে তারা থানার উঠোনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই খাপড়াইল-মাটিগাড়া বাজারের রাস্তাও অবরোধ করে তারা। যানজট শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ তাদের জোর করে তুলে দেয়। তখনই থানার ভিতরে গিয়ে কর্মীরা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে হাতাহাতি এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। ওসি এলে তাঁর হাতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement