ফাইল চিত্র
উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কোচবিহারের জন্য দরাজহস্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সবক’টি প্রস্তাবেই সিলমোহর দিলেন তিনি।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পঞ্চাননের জন্মভিটে মাথাভাঙার খলিসামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। রবিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ওই কথা জানান। তিনি জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে-ক’টি প্রস্তাব রয়েছে তার সবগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে ফোনে অনুমোদনের খবরও দেন মন্ত্রী। উপাচার্য সোমবার বলেন, “রাজ্য সরকারের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে। তাতে আমরা খুবই খুশি।”
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অনুমোদন নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ফায়দা তুলতে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। দলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় আমরা খুবই খুশি। শিক্ষামন্ত্রীকেও ধন্যবাদ। খলিসামারিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি ছিল। তাতে আমরাও সহমত ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম।” বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসের নামকরণ হয়েছে পঞ্চানননগর। খলিসামারিতে একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। সেটি অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের আওতায় রয়েছে। সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তবে বিজেপির দাবি, এ সবই ভোট রাজনীতি। দলের জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার অভিযোগ, সংগ্রহশালার বেহাল দশার কথা সবাই জানেন। সরকার দশ বছরে সেটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, “দশ বছর ধরে ওই আন্দোলন চলছে। আমরাও দাবি জানিয়েছি। এতদিন তা করতে পারেনি সরকার। আর এমন প্রতিশ্রুতি বহুবার শুনেছি। আমরা চাই সেখানে দ্রুত ক্যাম্পাস হোক। সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি।”পুণ্যভূমি খলিসামারি পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দাবি করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রীকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।