উদ্বোধন ঘিরে ধুন্ধুমার মালদহে। — নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় নতুন রাস্তা হবে। তাতে মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। কিন্তু ফিতে কাটবেন কে, সেই প্রশ্নেই ধুন্ধুমার বাধল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে তৈরি হবে রাস্তা। তাই ফিতে কাটার অধিকারী তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাই। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেসের দাবি, এলাকার প্রকৃত জনপ্রতিনিধি তারাই। তাই এলাকার রাস্তার ফিতে তাঁদের হাতেই কাটা হবে। বিবাদ গড়ায় মারামারিতে। থামাতে গিয়ে হাত কাটল বিডিওর। ভন্ডুলই হয়ে গেল ফিতে কাটার অনুষ্ঠান।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বরুই পঞ্চায়েতের বিদ্যানন্দপুরে পথশ্রী প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ২৬০ মিটার রাস্তা ঢালাইয়ের অনুষ্ঠান ছিল শনিবার। তৃণমূলের তরফে রাস্তা উদ্বোধনের জন্য যান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য মর্জিনা খাতুন-সহ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি এবং নেতা-কর্মীরা। অন্য দিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতি এবং বরুই পঞ্চায়েত কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দখলে। ফিতে কাটতে সেখানকার পদাধিকারীরা হাজির হন। সরকারি আধিকারিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল।
কিন্তু কে ফিতে কাটবেন, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ক্রমেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। তৃণমূল বনাম বাম-কংগ্রেস কর্মীদের হাতাহাতি ঠেকাতে উদ্যোগী হন বিডিওকে। কিন্তু ধস্তাধস্তিতে তাঁর হাত কেটে যায়। এর পরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত গজমেরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাত কাটার ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, ‘‘বিদ্যানন্দপুরে তৃণমূল এবং কংগ্রেস-সিপিএমের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর হয়। দু’পক্ষই উদ্বোধন করতে চায়। তাই নিয়ে মারামারি শুরু হয়ে যায়। ওই ধস্তাধস্তিতে পড়েই মনে হয় নখের আঁচড়ে হাত কেটে গিয়েছে আমার। গোলমালের জন্য উদ্বোধন স্থগিত রাখতে হয়েছে। পরে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আবার রাস্তার উদ্বোধন হবে।’’