শিলিগুড়িতে বড়মা। — নিজস্ব চিত্র।
নৈহাটির ‘বড়মা’র আদলে প্রতিমা এ বার শিলিগুড়িতে। গোটা শহর জুড়ে আগেই পড়েছিল ব্যানার, ফেস্টুন। তাতে লেখা, ‘‘নৈহাটির বড়মা এবার শিলিগুড়িতে।’’ পুজোর দু’দিন আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে শিলিগুড়ির হায়দার পাড়ার মহামায়া স্পোর্টিং ক্লাবে।
পরিকল্পনা হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। সেই মতো কাজ। রথের দিন কাঠামো পুজো দিয়ে সূচনা। মৃৎশিল্পী অধীর পালের তত্ত্বাবধানে অসম থেকে বেশ কয়েক জন শিল্পীকে নিয়ে এসে শুরু হয় কাজ। প্রতিমার উচ্চতা ২৬ থেকে ২৭ ফুট। মায়ের পরনে পিতলের গয়না। শনিবার উদ্বোধন হতে চলেছে পুজোর। যদিও তার আগে থেকেই ভিড় জমে গিয়েছে।
পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল কুন্ডু বলেন, ‘‘নৈহাটির বড়মাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে হয়েছি। সকলের সম্ভব হয় না বড় মাকে দর্শন করার৷ তাই এ বার বড় মাকে পুজো করার সিদ্ধান্ত। আগামী বছরগুলিতেও এখানে বড় মায়ের আকারেই পূজিত হবেন মা, ইচ্ছা তেমনই। ফায়ার ব্রিগেড বা পুরনিগমের হোস পাইপ দিয়ে এখানেই নিরঞ্জন হবে বড়মার।’’
শিল্পী শ্যামল রায় বলেন, ‘‘সেই রথের দিন থেকে কাজ করছি। ঠাকুরের উচ্চতা প্রায় ২৬ ফুট পার করেছে। এই প্রথম বড় মা তৈরি করলাম। নিজের সবটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। বহু মানুষ আসছেন, দেখে ভাল বলছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি।’’