সুকান্ত মজুমদার
করোনায় আক্রান্ত হলেন বালুরঘটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি শনিবার দিল্লিতে পৌঁছন। তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়ার পরে রাতেই পজ়িটিভ রিপোর্টে আসে। রবিবার নিজেই ভিডিয়ো বার্তায় সেই খবর দেন সুকান্ত। এর পরেই জেলায় দলের অন্দরে আশঙ্কা ছড়িয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ, কার্শিয়াঙের বাসিন্দা শান্তা ছেত্রীও করোনায় আক্রান্ত হলেন। রবিবার দুপুরে তাঁকে পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে এনে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এ দিন সকালে রিপোর্ট আসার পরে সাংসদ নিজেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিষয়টি জানান। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি করোনা আক্রান্ত বলে একটি পোস্ট করেন। গত কয়েক দিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট আসা অবধি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন সাংসদ।
দিল্লিতে যাওয়ার আগে সুকান্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। তাতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব থেকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুও ছিলেন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী জেলার অধিকাংশ বিজেপি নেতা এবং একাংশ কর্মীকে অন্তত ১০ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। দলের এক নেতার কথায়, রোজ লক্ষ্যমাত্রা ধরে জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রায় পুরো জেলা নেতৃত্ব ঘরবন্দি থাকলে ওই কর্মসূচি
ব্যাহত হবে।
করোনার প্রকোপ শুরুর দিকে গত মার্চ মাসে দিল্লি থেকে বালুরঘাটে ফিরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সুকান্ত। সেই সময় জেলার একাধিক জায়গায় পুলিশ তাঁর গতিরোধ করে। রাজ্যপালের দ্বারস্হ হন সাংসদ। এর পরে অবশ্য সুকান্তকে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে আর বাধা দেওয়া হয়নি।
দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে যাওয়ার এক দিন আগে ৯ সেপ্টেম্বর হিলি ব্লকের জামালপুরে দলবদল কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৪ দিন অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান কর্মসূচি-সহ একাধিক সভাতেও শামিল ছিলেন। ৫ সেপ্টেম্বর কুশমণ্ডিতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কর্মসূচিতেও ছিলেন সুকান্ত।
এ দিন অবশ্য তিনি জানান, দিল্লিতে যাওয়ার আগে বালুরঘাট হাসপাতালের অ্যান্টিজেন কিটে করোনা পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু পরের দিন দিল্লিতে আরটিপিসিআরের পরীক্ষায় পজিটিভ হয়। দেরি না করে বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীদের জানিয়ে সতর্ক করেন সুকান্ত।