প্রতীকী ছবি।
দার্জিলিং জেলার সমতলের নির্যাতিতার মামলায় অভিযুক্তের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (ফাস্ট কোর্ট) বিচারক।
সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ি আদালতে মামলার শুনানির পর জামিনের আবেদন খারিজ শুধু নয়, নির্দিষ্ট পকসো আদালতে বিচারক নির্দেশ পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পক্ষের তরফে একটি নথিতে নির্যাতিতার নাম থাকায় বিচারক তা সঠিক নয় বলেও জানিয়ে দেন। গত মাসের শেষে সুপ্রিম কোর্ট আবেদন খারিজের পর সর্বোচ্চ আদালত অভিযুক্তকে জেলার আদালতে আবেদন করার কথা বলেছিল। এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুলিশও আদালতে জামিনঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে। যা নিয়ে একাধিক শুনানি হলেও নির্দেশ এখনও জারি হয়নি।
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অভ্রজ্যোতি দাস বলেন, ‘‘গ্রেফতারি এড়াতে অভিযুক্ত পক্ষ কিছুই বাদ রাখছে না। আর নানা মনগড়া তথ্য, অভিযোগ নিয়ে নানা আদালতে হাজির হচ্ছে জামিনের জন্য। এ দিন আদালত আবেদন করেছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারি চাইছি।’’
আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার আগে থেকে পরিচয় ছিল। তাঁর মক্কেলকে টাকার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে। অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার কিছু ছবি সমাজ মাধ্যম থেকে নামিয়ে আদালতে জমা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মেয়েটির বয়স ১৭ বছরের বেশি বলেও দাবি করা হয়।
এর পরেই গৌহাটি হাই কোর্টের গত ২৫ এপ্রিল অবধি দেওয়া অন্তর্বর্তী জামিনের কপি জমা দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে সু্প্রিম কোর্ট জামিনের মেয়াদ আর বাড়াতে দেয়নি বলেও আদালতে জানানো হয়। সব কিছু বিচার করার পর বিচারক জঘন্য অপরাধের কথা উল্লেখ করে আর্জি খারিজ করেন। পকসো ধারায় অভিযোগের কথাও বলেন।
এই অবস্থায় অভিযুক্ত পক্ষকে পকসো আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। নির্যাতিতার আইনজীবীর দাবি, ‘‘যে অপরাধ হয়েছে, তা ভাবাই যায় না। পকসো আদালতে জামিন তো দূরের কথা, এখন সোজা গ্রেফতারির নির্দেশ জারি হওয়াটাই জরুরি।’’