পাশাপাশি। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির বাচ্চু হাঁসদাকে দেখা গেল তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে। রামপুর হাইস্কুলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে ছবিতেও দেখা গিয়েছে জেলার প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে। মঙ্গলবার সে ছবি একটি ভোটকুশলী সংস্থার ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’-এ পড়ার পরেই জেলায় ফের বাচ্চুকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বিবৃতি দেন, বাচ্চু যে স্কুলের সহকারী শিক্ষক, সে স্কুলেই মঙ্গলবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি ছিল। তাই বাচ্চু সেখানে ছিলেন।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভোটকুশলী দলের প্রতিনিধিরা তপনে সমীক্ষায় গিয়ে বাচ্চুর প্রাসাদোপম বাড়ি দেখে আশ্চর্য হয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আর টিকিট পাননি তৃণমূলের প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। ওই ভোটের আগেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ওই এলাকা থেকে সে বার বিজেপির বুধরাই টুডুর কাছে হারেন তৃণমূলের প্রার্থী কল্পনা কিস্কু। তৃণমূল সূত্রের দাবি, তার পর থেকেই বিভিন্ন নেতা-নেত্রীকে ধরে ফের তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা চালিয়েছেন বাচ্চু। যদিও দলের একাংশের দাবি, বাচ্চুকে ফেরাতে জেলার একটি বড় অংশের কর্মীদের আপত্তি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, তাঁর জন্যই কল্পনা হেরেছেন। যদিও সে দাবি অস্বীকার করেন বাচ্চু।
এ দিনের পরে প্রশ্ন উঠছে, এ বার কি তবে অর্পিতা ঘোষের মাধ্যমে দলে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি? যদিও অর্পিতা, বাচ্চু দু’জনেই সে কথা অস্বীকার করেন।
বাচ্চু বলেন, ‘‘বিজেপি থেকে পদত্যাগ করিনি। আমি যে স্কুলের শিক্ষক, সেখানে কমর্সূচি ছিল। তাই ছিলাম।’’ অর্পিতা বলেন, ‘‘বাচ্চুদাকে দলে নেওয়ার প্রশ্ন নেই। রামপুর স্কুলে পড়ান বলে সেখানে ছিলেন।’’ তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘ঘটনাচক্রে ছবি উঠেছে। তাঁকে দলে নেওয়া হবে কেন?’’