মন্দির চত্বরে হনুমানদের ভুরিভোজ। নিজস্ব চিত্র
এক শিবির দলের সাংগঠনিক নির্বাচন সহ সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে। আরেক শিবির আবার সর্বত্র যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে সেজন্য বুথে বুথে নেতা-কর্মীদের নজরদারি চালানোর নির্দশ দিয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে এত কিছু, সেই অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে অবশ্য দুই শিবির, অর্থাৎ তৃণমূল ও বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য একেবারেই চুপ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে তা শুক্রবারই গোটা দেশের সঙ্গে জেনে গিয়েছিল আলিপুরদুয়ার। ফলে এ দিন সকাল থেকেই সকলের নজর ছিল টিভির পর্দায়। যা থেকে বাদ যাননি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও। মূল দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতাদের অনেকেই সকাল বেলা বাড়িতে টিভি চালিয়ে অপেক্ষা করতে শুরু করে দেন। পাশাপাশি ফোনে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের কাছে সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ যেতে থাকে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আলিপুরদুয়ার জেলায় এই মুহূর্তে সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি বুথে নতুন করে কমিটি গঠন করেছে গেরুয়া শিবির। গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় মণ্ডল কমিটি গঠনের কাজ। ওইদিন জেলায় দলের একুশটি মণ্ডলের মধ্যে পাঁচটিতে নতুন কমিটি গঠন করে বিজেপি। শনিবার বাকি ষোলোটি মণ্ডলে কমিটি গঠনের কথা ছিল। কিন্তু অযোধ্যা মামলার রায়ের জন্য শেষ মুহূর্তে এ দিন ষোলোটি মণ্ডলে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। সেইসঙ্গে এ দিন দলের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিও স্থগিত রাখেন বিজেপি নেতারা। দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘আজ, রবিবার দলের কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই ষোলোটি মণ্ডলে কমিটি গঠনের দিন ঠিক করা হবে।’’
সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা নেতারাও। বিশেষ করে জেলার কোথাও যাতে সম্প্রীতি নষ্ট না হয় তাতেই বেশি নজর ছিল তাদের। যেজন্য সর্বত্র শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বুথে বুথে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিতে থাকেন দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। রায় ঘোষণার পর কোথায় কী অবস্থা সেই খোঁজও রাখেন তাঁরা।
কিন্তু যাকে ঘিরে এত কিছু, সেই অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে দিনের শেষে কিন্তু চুপ বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।’’ অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে যা বলার আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেছেন। এই বিষয়ে আমাদের আলাদা করে কিছু বলার নেই।’’