হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুলের জ্যোৎস্নারা বিবি। বাড়ির সামনে। তালিকায় নাম থাকলেও তা কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তাঁর স্বামী নজরুল ইসলাম পরিযায়ী শ্রমিক। মাটির দেওয়াল আর টালির চালের জরাজীর্ণ বাড়িতে বাস। আবাস যোজনার পুরনো তালিকায় তাঁদের নাম ছিল বলে দাবি। নতুন করে সমীক্ষা শুরু হওয়ার পরে সম্প্রতি বাড়িতেও যায় সমীক্ষক দল। কিন্তু অভিযোগ, তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুলের বাসিন্দা জ্যোৎস্না আরা খাতুনের।
সমীক্ষার পরে তাঁর মতোই অনেক প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ। বদলে তালিকায় ঠাঁই পেয়েছ রেশন ডিলার, পেল্লাই বাড়ি রয়েছে এমন অনেকেই। যাদের অনেকেই পঞ্চায়েতের সদস্যদের আত্মীয় বলে দাবি। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২-এর বিডিও তাপসকুমার পাল বলেন, “তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। হতে পারে, সমীক্ষকদের ভুলপথে চালিত করা হয়েছে। অভিযোগ আসছে বলেই সে সব আমাদের নজরে আসছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া বা তালিকায় নাম সংযোজন করা হবে।” প্রশাসনের আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছেন না প্রকৃত উপভোক্তাদের অনেকেই। কেননা, নতুন করে সমীক্ষা হলেও কী ভাবে তাদের নাম বাদ গেল সেই প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের দাবিমতো টাকা দিতে না পারায়, তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। সোনাকুল মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে। ওই পঞ্চায়েতে আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রেশন ডিলার রফিকুল ইসলামেরও নাম রয়েছে নতুন তালিকায়। তিনি পঞ্চায়েতের এক সদস্যের আত্মীয়। পাকা বাড়ি-গাড়ি থাকলেও একাধিক পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়দের তালিকায় নাম রয়েছে বলে অভিযোগ। জ্যোৎস্না বলেন, ‘‘স্বামী কেরলে পরিযায়ী শ্রমিক। জীর্ণ ঘরে দিন কাটে আমার। টাকা দিতে পারিনি বলেই নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অথচ এলাকার রেশন ডিলারের নাম তালিকায় রয়েছে।’’ রেশন ডিলার রফিকুলের দাবি, ‘‘কী ভাবে তালিকায় নাম এসেছে, তা বলতে পারব না।’’
মালিওর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলি খাতুন বলেন, ‘‘রেশন ডিলার, সদস্যদের আত্মীয়দের নাম তালিকায় রয়েছে। সংশোধনের জন্য তালিকা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’