আক্রান্ত: কাশিমুদ্দিন আহমেদ। নিজস্ব চিত্র
পুকুর কাটার কাজ করছিলেন জনাপঞ্চাশেক পুরুষ ও মহিলা। মাঘমাসের প্রথম দিনে এলাকায় মেলা রয়েছে। মেলায় যাবেন বলে সকলেই দ্রুত কাজ সারছিলেন।
আচমকাই বদলাল ছবি।
চারপাশে শুরু হল চিৎকার। যে যেদিকে পারলেন ছুটে পালালেন। আর তাঁদের পিছনে তাড়া করল কালো মেঘের মতো একঝাঁক মৌমাছি।
বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের চাঁচলের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দোসরকি এলাকায় ঘটল এমনই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২০ জন শ্রমিক। তাঁদের চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এক মহিলা-সহ দুই শ্রমিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁরা হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। ওই ঘটনার জেরে এ দিন পুকুর কাটার কাজও বন্ধ হয়ে যায়।
কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খান বলেন, ‘‘সাংঘাতিক ঘটনা। মৌমাছি যে এভাবে আক্রমন করে ভাবতেই পারছি না।’’
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ নম্বর সংসদের দোসরকি এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটার কাজ চলছিল। সেখানে কিছু গাছ রয়েছে। একটি গাছে ছিল মৌমাছির চাক। প্রত্যক্ষদর্শী এক শ্রমিক জানান, সেই গাছে হটাৎ একটি পাখি বসতেই চাক থেকে মৌমাছির দল উড়তে শুরু করে। পাশে থাকা শ্রমিকদের তাড়া করে। শ্রমিকদের প্রত্যেককেই মৌমাছি হুল ফোটায়। অসংখ্য মৌমাছি ছেকে ধরে হুল ফোটানোয় তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এখনও হাসপাতালে ভর্তি কাশিমুদ্দিন আহমেদ ও ফুলশেরি বিবি। দু’জনেই বলেন, ‘‘আগেও এক-দুটো মৌমাছির কামড় খেয়েছি। কিন্তু এ দিন যে ভাবে মৌমাছি ছেঁকে ধরেছিল তাতে বাঁচতে পারব বলে ভারিনি।’’