অবশেষে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ঘোষণা করল প্রশাসন। শুক্রবার তা ঘোষণা না করাই এ নিয়েই সরব হয়েছিল বিরোধীরা।
শনিবার মহকুমাশাসক তথা পুরসভার নির্বাচনী আধিকারিক থেন্ডুপ নামগিয়েল শেরপা জানান, ৩০টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করতে সে সব বুথে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী ও নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা নজরদারি চালাবেন। এ ছাড়া সমস্ত বুথেই ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া রেকর্ডিং করা হবে। কোথাও কোনও গোলমাল হলে, পরবর্তীতে সেই ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
শুক্রবার প্রচার শেষ হওয়ার পরেও প্রশাসন সরকারিভাবে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ঘোষণা না করায় সরব হয় কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি। ঘটনাচক্রে, ওই রাতেই রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের গত ৭ মে দায়ের করা একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়।
তবে প্রশাসনের আশ্বাসের পরে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। মোহিতবাবু ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের অভিযোগ, এদিনও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের হুমকি দিয়েছে। কোথাও আবার বিরোধী দলের চিহ্নিত ভোটারদের ভোটারকার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের দুই ও বিজেপির এক কর্মীকে বিনা কারণে পুলিশ থানায় তুলে নিয়ে হেনস্থা করেছে বলেও অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, ‘‘দলের তরফে বাসিন্দাদের একজোট থেকে সন্ত্রাস রুখে দিয়ে নিজের ভোট নিজেকে দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে নীতি ও আদর্শ ভুলে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি একজোট হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে বাসিন্দারা তৃণমূল প্রার্থীদেরই জয়ী করবেন।’’