—প্রতীকী ছবি
ভ্যাকসিন এসে পৌঁছনো এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা তাই ইতিমধ্যেই করে ফেলা হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ব্লক স্তরেও। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে অন্তত দেড় লক্ষ জন ভ্যাকসিন পাবেন। 'কোল্ডচেন' পদ্ধতি মেনে ব্লকে ব্লকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জেলা, ব্লকে ইতিমধ্যেই যে সব ‘কোল্ডচেন পয়েন্ট’ রয়েছে, বছরভর শিশুদের দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভ্যাকসিন মজুত করার সেগুলিতেই করোনার ভ্যাকসিনও মজুত হবে। চিকিৎসক, নার্স ছাড়াও জেনারেল ডিউটি অ্যাটেনড্যান্ট বা জিডিএ স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টদের মতো ব্যক্তিরা প্রথম দফায় করোনার ভ্যাকসিন পাবেন।
উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন পাঠানো হলে জেলা থেকে ব্লকে তা মজুত করার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘কোল্ডচেন’ পদ্ধতি মেনে ভ্যাকসিন পৌঁছবে এবং তা মজুত করা হবে ব্লকস্তরেও। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়ও জেলা থেকে ব্লকস্তর পর্যন্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন নেবেন। ব্লকগুলিতে দুটো থেকে তিনটি এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকবে, যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, পদ্ধতি মেনে তা নথিভুক্ত হবে বিশেষ সফটওয়্যারে। বস্তুত, ওই সফটওয়্যারে নাম নথিভুক্ত করানোর পরেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ‘মেসেজ’ যাবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার কেন্দ্রের নাম সেখানে উল্লেখ করা থাকবে। সেই মতো নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলেও একই পদ্ধতি মেনে চলা হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে জেলাগুলিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনোলজিস্টদের মতো যাঁরা প্রথম দফায় ভ্যাকসিন পাবেন, তাঁদের তালিকা করে স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে। কোনও জেলায় ১৫ হাজার কোথাও ১৬ হাজার নাম। তালিকায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্স রয়েছেন। থাকছেন ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টরা, জিডিএ স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মীরাও। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও থাকছেন তালিকায়। পুর বা গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত আশা কর্মীরা, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকারা, কোয়াক ডাক্তাররাও প্রথম দফায় প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন।
মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে এ ভাবে ভাগ করেই ভ্যাকসিন বিলি করা হবে। সেই মতো সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, আধিকারিক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যরা ভ্যাকসিন পাবেন।