—ফাইল চিত্র।
ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রশাসনকে দেন আশাকর্মীরা। সেই ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এ বার তথ্য দেওয়ার জন্যই এক আশাকর্মীকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চকসাতনে বৃহস্পতিবার রাতে কিছু শ্রমিক স্থানীয় আশাকর্মীর বাড়িতে চড়াও হন বলে খবর।
ভিন্রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে হোম কোয়রান্টিনে থাকা বাসিন্দাদের খোঁজ নেওয়া—সব কিছুই করছেন আশাকর্মীরা। বাসিন্দারা জানালেন, এই আশাকর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, অথচ তাঁদের সঙ্গেই এই ব্যবহার করা হল। শুক্রবার থেকে ভয়ে ওই আশাকর্মী, পূর্ণিমা মণ্ডল আর বাড়ি থেকে বার হননি। তিনি এ দিন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা দেখছি।’’
করোনা সংক্রমণ রোধ করতে আশাকর্মীরা বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন। কারা ভিন্রাজ্য থেকে ফিরছেন, তাঁরা সেই তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তা সংশ্লিষ্ট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের চকসাতনে দিল্লি থেকে কয়েক জন ফেরেন। পূর্ণিমা তাঁদের তালিকা স্বাস্থ্যকর্মীকে পাঠান। বৃহস্পতিবার তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিন রাতেই প্রকাশ পাশমান ও আরও কয়েকজন সদ্য ফেরা শ্রমিক পূর্ণিমার বাড়িতে লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
বাসিন্দারা জানান, ওই শ্রমিকদের দাবি মালদহে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে, তাঁরা অসুস্থ নন। তারপরও তাঁদের নাম কেন পাঠানো হল—সে জন্য গালিগালাজ করতে থাকেন শ্রমিকরা। পরে সিভিক ভলান্টিয়ার ও বাসিন্দারা বাধা দিলে ওই শ্রমিকেরা পালিয়ে যান বলে খবর।
ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে পূর্ণিমা। তিনি বলেন, ‘‘এমনিতেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। তারপরেও এমন ঘটনায় এ বার সত্যিই ভয় লাগছে।’’
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিএমওএইচ সাগর বসাক বলেন, ‘‘শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের ভালর জন্যই সবকিছু করা হচ্ছে। এটা তাঁদের বুঝতে হবে।’’