এই সেই পরিচয়পত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সূচনা হওয়া চা শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ দ্রুত বাগানে-বাগানে পৌঁছে দিতে তৎপরতা শুরু হল শ্রম দফতরে। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক শনিবার জানান, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফের রেকর্ড থেকে তথ্য নিয়েই চা শ্রমিকদের এই পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছে। তাতে শ্রমিকদের নাম, ইপিএফ নম্বর, আধার নম্বর, মোবাইল ফোন নম্বর থাকায় অবসরের পরে পিএফ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হতে পারে।
হাসিমারার সুভাষিণী চা বাগানে গত বৃহস্পতিবার সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে চা শ্রমিকদের পরিচয়পত্রের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের হাতে এক চা শ্রমিককে ওই পরিচয়পত্র পরিয়েও দেন. শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা হতেই ধাপে ধাপে উত্তরবঙ্গের সব চা শ্রমিকদের জন্য পরিচয়পত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু বাগানে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র পৌঁছেও গিয়েছে। মলয় ঘটক বলেন, “কার্ড মানেই একটা পরিচিতি যে তিনি চা শ্রমিক। এর মধ্য দিয়ে সরকারের তরফে চা শ্রমিককে সম্মানও জানানো হচ্ছে।”
আধার কার্ডের সমস্যা বা নামের বানান ভুল থাকার কারণে অবসরের পরে চা শ্রমিকদের পিএফ পেতে অনেক সময়েই সমস্যা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নেমেছে তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বৃহস্পতিবারের সভা থেকে এ নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলেন। শ্রমমন্ত্রী জানান, পিএফের রেকর্ড থেকে তথ্য নিয়েই পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে। কোনও বাগানের মালিকানা বদল হলে কিংবা কোনও বাগান বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে এই পরিচয়পত্র সহায়ক হবে। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে এর সাহায্যেও যাতে চা শ্রমিকেরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হবে।” তবে বিরোধীদের অভিযোগ, বেশ কিছু পরিচয়পত্রে ইপিএফ নম্বরের জায়গায় চা শ্রমিকের নাম রয়েছে, নামের জায়গায় ইপিএফ নম্বর রয়েছে। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “এই পরিচয়পত্র শ্রমিকদের কাজে লাগবে না। এটা ভাওতা।” চা শ্রমিক নেতা, তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিজেপি রাজনীতি করছে। অবসরের পরে পিএফ পাওয়া-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকেরা উপকৃত হবেন।”