নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি সতর্কতা সত্ত্বেও ছিনতাইকারীর গুলিতে খুন হলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। শুক্রবার রাতে হিলি থানার তিওড় এলাকার ঘটনা। গুরুতর জখম ওই ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকারকে (৫৫) বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, প্রায় একঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রেখে তার পরে রেফার করা হয়। রাত ১১টা নাগাদ বালুরঘাট থেকে মালদহে নেওার পথে গঙ্গারামপুরে কাছে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে মারা যান তিনি।
গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে সতর্ক করেছিল হিলি থানার পুলিশ। কেন না, হিলি এলাকায় ড্রাগের নেশা ও কারবার বন্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে দাবি করে। ফলে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের আশঙ্কা থেকে পুলিশের ওই বৈঠক বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ছিনতাইকারীদের গুলিতে এই খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
শনিবার ‘বঙ্গীয় স্বর্ণব্যবসায়ী সমিতির’ জেলা সভাপতি গোপার পোদ্দার বলেন, ‘‘জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’ খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে তারা পুলিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সঙ্গে থাকা টাকা ও অলঙ্কারের ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে তিন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে হামলা চালায়। বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা প্রদীপকে গুলি করে পালায়। পেটে গুলি লেগে তিনি লুটিয়ে পড়েন।
চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়ে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার পার্থ মণ্ডল। জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কতীদের ধরতে তল্লাশি চলছে।