এনজেপি-গুয়াহাটি চালুর আগেই ‘স্টপ’ নিয়ে বিতর্ক। ফাইল ছবি।
রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এনজেপি-হাওড়া-এনজেপি ঘিরে শুরুতেই নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। রাজ্যের আর এক প্রস্তাবিত এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত চালানোর আগেই শুরু হয়ে গেল নতুন বিতর্ক। বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় ‘দরবার’ করার পরেও জলপাইগুড়িতে স্টপের প্রস্তাব রাখেনি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আলিপুরদুয়ারেও স্টপের প্রস্তাব না থাকায়, সেখানে ক্ষুব্ধ একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন। প্রান্তিক স্টেশন এনজেপি ছাড়া, উত্তরবঙ্গে এক মাত্র প্রস্তাবিত স্টপ নিউ কোচবিহার।
হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত চালু হওয়ার আগে কিসানগঞ্জ, না বোলপুরে স্টপ দেওয়া হবে সে সব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এ বারও সে বিতর্ক পিছু ছাড়ল না আর এক বন্দে ভারতের ক্ষেত্রে। এনজেপি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত একটি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর প্রস্তাব কয়েক দিন আগেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে রেল বোর্ডের কাছে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এনজেপি থেকে ছাড়ার পরে, উত্তরবঙ্গে শুধু নিউ কোচবিহারে থামবে বন্দে ভারত। তার পরে অসমে ঢুকে পড়বে ট্রেন। এতেই নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে ট্রেনটির স্টপ দেওয়ার দাবি রেলের কাছে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। কিন্তু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তা না মেনেই একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যদিও এ দিন বিষয়টি জানার পরে জয়ন্ত বলেন, ‘‘আমি প্রস্তাব দিয়েছি। এখনও আশাবাদী।’’ শুধু জয়ন্ত নন, জলপাইগুড়ির একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন বন্দে ভারতের স্টপের দাবি তুলেছিলেন। হতাশ হয়েছেন তাঁরাও। তাঁদের যুক্তি, ব্যবসার কাজে জলপাইগুড়ির অনেককেই অসমের দিকে যাতায়াত করতে হয়। সে জন্যে এখানে স্টপ দরকার ছিল। একই দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের একাধিক ব্যবসায়ীও। প্রান্তিক স্টেশন এনজেপি ছাড়া, উত্তরবঙ্গে শুধু নিউ কোচবিহারে ট্রেনটির স্টপ রাখা হয়েছে। তাতে খুশি কোচবিহারের বাসিন্দারা। যদিও রেল সূত্রের দাবি, এনজেপি রয়েছে বলে আর জলপাইগুড়িতে স্টপেজ দেওয়া হয়নি।
অন্য দিকে, নিউ কোচবিহার থাকছে বলে আর আলিপুরদুয়ার রাখা হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘রেল বোর্ডই সবটা ঠিক করবে। এখনও প্রস্তাবই রয়েছে। ট্রেনটি কবে থেকে চলবে, সেটাই এখনও ঠিক হয়নি।’’ রেল সূত্রের ইঙ্গিত, বোর্ড চাইলে প্রস্তাবিত ট্রেনের সূচি, সময় ও স্টপ বদলাতেও পারে।