সূচনা: রবিবারের হাটে অঞ্জন দত্ত। নিজস্ব চিত্র।
নেপালি কিছু বাদ্যযন্ত্রে গান করছেন কয়েকজন অনামী শিল্পী। শীতের সকালে চত্বর জুড়ে বসেছে বিকিকিনির বেশ সাজানো গোছানো একটা আসর। কেউ বসেছেন ফুলকপি-বাঁধাকপি, ব্রকলি, ড্রাগন, স্ট্রবেরির সম্ভার নিয়ে। কেউ দেশি ডিম, জৈব সারে উৎপাদিত চাল-ডালের পসরা নিয়ে। বেশ কিছু মহিলা তাঁদের নি জে হাতে তৈরি শিল্পকর্ম নিয়ে বসেছেন। আর আছে পাহাড়ের গর্বের চা এবং চায়ের সরঞ্জাম।
শিলিগুড়ি শহরের সানডে হাটের ছবি। রবিবার এই হাটেই এসেছিলেন অভিনেতা-পরিচালক অঞ্জন দত্ত। এই হাটে এ দিন একটি টায়ের স্টলের উদ্বোধন করেন তিনি। হাটের মাঝে চায়ে চুমুক দিতে দিতে অভিনেতা বললেন, ‘‘এ যেন এক টুকরো পাহাড়। আর কিছু মানুষের আদুরে ঠোঁটের আত্মীয়তা। কেনাবেচার মাঝে এমন আমেজ সানডে হাটেই সম্ভব।’’
শহরের চার্চ রোডের ধারে একটি বেসরকারি স্কুলে দু’বছর আগে বসেছিল এই অভিনব হাট। লকডাউনের পরে কয়েক মাস আগে ফের খুলেছিল। উদ্দেশ্য, জৈবসারে চাষ করা আনাজ থেকে ফল এবং দেশীয় কিছু সামগ্রী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। হাট তৈরির কর্ণধার সংযুক্তা বসু জানান, এখন এই হাটে পাহাড় সমতলের দেশি চাল থেকে দেশি ডিম, জৈব সারে চাষ করা সমস্ত রকমের আনাজ বিক্রি হয় প্রত্যেক রবিবার। হাট নির্মাতারা তাল পিঠে, অর্কিড উৎসব এবং আরও বেশ কিছু উৎসবও করেছিলেন।
সংযুক্তা এ দিন বলেন, ‘‘জৈব সারে চাষ করা সামগ্রী নিতে ভিড় হচ্ছে এই হাটে। সেই চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন।’’