Anit Thapa

পাহাড়ের দুই জেলাশাসককে ‘হুঁশিয়ারি’ অনীতের

দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল এবং কালিম্পংয়ের জেলাশাসক সুব্রমনিয়ন টি এ নিয়ে মন্তব্য করেননি।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১০:০৮
Share:

প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার শীর্ষ নেতা অনীত থাপা।

দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকায় ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর (জিটিএ) সঙ্গে আলোচনা না করে দুই জেলাশাসক মর্জিমাফিক প্রশাসনিক কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুললেন জিটিএ প্রধান তথা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার শীর্ষ নেতা অনীত থাপা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ‘হুঁশিয়ারি’ দেন, জিটিএ থেকে পঞ্চায়েত স্তরে কাউকে কিছু না জানিয়ে জেলাশাসকেরা বিভিন্ন জমিতে ‘রাজ্য সরকারের জমি’ বলে বোর্ড ঝোলাচ্ছেন, যা ঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য, সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের হিসাব মেলালে চলবে না। পাহাড়ি গ্রামের জমিতে বংশ পরম্পরায় পাহাড়বাসী চাষ-আবাদ করেন। তা পাট্টা দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কাউকে কিছু না জানিয়ে বোর্ড লাগানো হলে, পাহাড়ে নতুন করে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতির দায়িত্ব দুই জেলাশাসককে নিতে হবে বলে অনীতের দাবি। যদিও দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল এবং কালিম্পংয়ের জেলাশাসক সুব্রমনিয়ন টি এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। অনীতের মন্তব্যের সূত্রে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছেন দার্জিলিঙের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা। পাল্টা জবাব দেয়নি তৃণমূল।

Advertisement

এ দিনই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন অনীত। তিনি আরও বলেন, ‘‘পাহাড়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় আইনে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা আছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই প্রশাসনিক এবং উন্নয়নের কাজ করতে হবে। এর অন্যথা হবে না।’’ তিনি জানান, পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে জিটিএ-র প্রত্যেক সদস্যকে বলা হয়েছে। কোথাও এ ভাবে বোর্ড ঝোলানো যাবে না।

রাজ্য সরকার লোকসভা ভোটের পর থেকে সরকারি জমি উদ্ধারে নামে। পাহাড়েও সে কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের পার্থক্য রয়েছে। পাহাড়ের অধিকাংশ জমিই খাস জমি। সেগুলি পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়াও চালু রয়েছে। তার পরে অস্থায়ী বাড়ি ভেঙে, জমির দখল নেওয়া নিয়ে এ বার সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

সরাসরি না হলেও অনীতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির দার্জিলিঙের রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, ‘‘জিটিএকে সমর্থন না করলেও সংস্থাটি যতক্ষণ রয়েছে, ততক্ষণ তার নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে। পাহাড় দুটো বড় আন্দোলন এই জমির অধিকারকে ঘিরে দেখেছে। রাজ্য সরকার, প্রশাসনকে তা মাথায় রাখতে হবে। অনীতেরা দেখুন, রাজ্য কী ভাবে তাদের ব্যবহার করছে নিজেদের মানুষের বিরুদ্ধে। সিদ্ধান্ত ওঁদেরই নিতে হবে।’’

তৃণমূলের তরফে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement