ফাইল চিত্র।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে টাকা বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করলেন জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা। রাজ্যের কাছে বকেয়া ২৩২ কোটি টাকা ধাপে ধাপে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য চাইলেন অনীত। জিটিএ গঠন হওয়ার পর প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক হল শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৈঠকে অনীত, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, অর্থ সচিব মনোজ পন্থ ছাড়াও জিটিএ-র প্রধান সচিব এস পুন্নমবলম উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল অবধি জিটিএ-তে সঠিক ভাবে অর্থ বরাদ্দ হয়নি। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ১৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও পাহাড়ে পাঠানো হয় ১৩৩.৭৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরে রাজ্যের কাছে জিটিএ-র বকেয়ার পরিমাণ ২৩২ কোটি টাকা। এই টাকা না পাওয়ায় জিটিএ-র বিভিন্ন খাত মিলিয়ে দায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এ বছর বাজেটে জিটিএ-র জন্য ২০৬ কোটি টাকার বরাদ্দের ঘোষণা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে এই সব তথ্য নিয়ে আলোচনার পর অনীত রাজ্যের কাছে কিস্তিতে বরাদ্দের আবেদন জানান।
গত পাঁচ বছর নির্বাচিত জিটিএ বোর্ড ছিল না। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বোর্ড তৈরি হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর বোর্ডের কাজের জন্য অর্থের প্রয়োজন। রাজ্য সরকারও ধাপে ধাপে অবশ্য অর্থ দিতে প্রস্তুত বলে সচিবেরা জানিয়েছেন। তবে বোর্ড পরিচালনার টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি অনীত যে দাবিগুলি নতুন করে তুলেছেন, সে সব মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনসাপেক্ষেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে। অনীত বলেন, ‘‘বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। সরকার সবসময় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও সমস্ত বিষয়গুলি জানেন।’’
এ দিনই বোর্ডে নির্বাচিত সদস্যদের দফতর বণ্টন করা হয়েছে। জিটিএ-র ১৪ জন সদস্যকে বিভিন্ন দফতের ‘এক্সিকিউটিভ মেম্বার’ করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ১৭ জনকে এলাকা ভিত্তিক দফতর বণ্টন করে ‘মেম্বার অন ডিউটি’ করা হয়েছে। এতে তৃণমূলের সদস্যরাও আছেন। বিনয় তামাংকে দার্জিলিঙে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ, শনিবার সকালে জেলায় ফিরছেন অনীত। সোমবার থেকে লালকুঠিতে তিনি পুরোদস্তুর অফিস করবেন বলে ঠিক রয়েছে।