ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার, ৬ জুলাই দুপুরে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন জিটিএ-র ভাবী চেয়ারম্যান অনীত থাপা। সরকারি সূত্রের খবর, ৫ জুলাই অনীত কলকাতা যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দলের কয়েক জন নেতাও কলকাতা যেতে পারেন। তার পরেই শপথের দিনক্ষণ ঠিক হবে। তাতে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও বর্ষার মরসুমে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তাই শপথ নেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, পাহাড়ের পঞ্চায়েত ভোট, সরকারি কর্মী স্থায়ীকরণ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতো নানা কাজের জন্য নতুন করে কথা বলতে পারেন অনীত।
কলকাতা সফর নিয়ে আপাতত কোনও কথা বলছেন না অনীত। তিনি শুধু বলেন, ‘‘কলকাতা যাব। বাকিটা পরে জানানো হবে।’’ প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতির ঘনিষ্ঠ এক নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘ভোটের ফলাফলের পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনীতের কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এখন কাজের সময়। প্রচারে যা বলা হয়েছে, তা আগামী কয়েক বছরে করার চেষ্টা করতেই হবে। দু’বছর পর লোকসভা ভোটও রয়েছে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, এ বার জিটিএ ভোটে ৪৫টি আসনের মধ্যে ৩৬টি আসনে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা প্রার্থী দেয়। বাকি ৯টি আসনে তারা নির্দলদের সমর্থনের কথা বলেছিল। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, ৯টি নয়, ১০টি আসনে অনীত তৃণমূলকে পরোক্ষে সমর্থন করেছে। দুই দলের পতাকা একসঙ্গে নিয়ে প্রচারও হয়েছে জিটিএ-র তরাই এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ভোটের ফল প্রকাশের পরে জানিয়েছেন, অনীতদের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা হয়েছিল। অনীতের দল ২৭টি আসন জিতেছে। তৃণমূল ৫টিতে। হামরো পার্টির ৮টি আসন ছাড়াও ৫ জন নির্দলও আছে। তৃণমূল জিটিএ-র সহযোগী দল হিসেবে বোর্ডে যাবে, না কি বাইরে থাকবে, তা অনীতের কলকাতা সফরের পরে স্পষ্ট হবে। পাহাড়়ের তৃণমূল নেতাদের একটা অংশ বোর্ডে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তবে সবই রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবেন বলে কথা হয়েছে।
রাজনৈতিক এই সমঝোতার বাইরে পাহাড়ের কাজের জন্য অনীত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে চান। বিশেষ করে রাস্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে চান তিনি। এর পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি কর্মীদের স্থায়ীকরণ, মংপু সিঙ্কোনা বাগানের প্রকল্প, পঞ্চায়েত ভোটের বিষয়গুলিও রয়েছে। অনীতের কথায়, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে গোলমাল করে পাহাড়ের কোনও কাজ করা সম্ভব নয়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। আর তাই আমরা রাজ্যের সঙ্গে মিলেই কাজ করব।’’