গাছে বেঁধে মারধর বৃদ্ধাকে। Sourced by the ABP
বাড়ির সামনে রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছিল। তাতে বাধা দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রঘুনাথপুরের এক বৃদ্ধা। এর জেরে, ওই মহিলাকে গাছে বেঁধে, মারধরের অভিযোগ উঠল কিছু গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। দুলো বর্মণ নামে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার অভিযোগ, বাড়ির সামনের ওই রাস্তাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। রবিবার ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের সে রাস্তা ঠিকাদারের লোকেরা ঢালাই করতে গেলে বাধা দিতেই, উপস্থিত জনতা তাঁকে গাছে বেঁধে মারধর করে বলে অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ারেরা পৌঁছে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পরে, অসুস্থ বোধ করায় কুনোর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করান তিনি। রবিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
দক্ষিণ রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা বাড়ি-বাড়ি মাধুকরি করে সংসার চালান। একাই থাকেন। পাশের বাড়িতে থাকেন তাঁর বোন সত্তা। তিনিও মাধুকরি করে একা সংসার চালান। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত সরকার বলেন, ‘‘রবিবার রাস্তা তৈরি করতে এলে ওই বৃদ্ধা বাধা দেওয়ায়, উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মহিলাকে মারধর করে। এটা ঠিক হয়নি।’’ দক্ষিণ রঘুনাথপুর সংসদের বিজয়ী প্রার্থী বিজেপির অজিত সরকার বলেন, “আমি পরে ঘটনাটি জেনেছি। আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিত ছিল।’’ বৃদ্ধাকে মারধর করা উচিত হয়নি বলে মত তাঁরও।
বিদায়ী প্রধান (আগে তৃণমূল, এখন বহিষ্কৃত) নীলিমা রায় বলেন, “দুলো ও তাঁর বোন সত্তা বর্মণ পাট্টা পাওয়া ৯ শতক জমির উপর দু’জনে বাড়ি করে আছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, দুলোর বাড়ির সামনে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা তৈরির সময় তিনি বাধা দিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করা হয়েছিল।’’ নীলিমার দাবি, ‘‘ওই রাস্তা দুলোর সীমানার মধ্যে নেই। অযথা তিনি ঝামেলা পাকাচ্ছেন। তবে ওই বৃদ্ধাকে এ ভাবে অমানবিক ভাবে মারধর মেনে নেওয়া যায় না।’’ বহু চেষ্টা করেও এ দিন দুলো বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত রায় বলেন, ‘‘ঝামেলার খবর পেয়েছি। কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।’’ রায়গঞ্জ পুলিশ-জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার এই দিন বলেথেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’