সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

ধূপগুড়ির সোনাখালি জঙ্গল লাগোয়া গাড়খুটা গ্রামে এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দু’টি দেশি পাইপগান। ফালাকাটা সশস্ত্র সীমা বলের ১৭ নম্বর ব্যাটিলিয়নের জওয়ান ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র দু’টি উদ্ধার করে। তবে কোনও গুলি পাওয়া যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১০
Share:

উদ্ধার হওয়া অস্ত্র।—নিজস্ব চিত্র।

ধূপগুড়ির সোনাখালি জঙ্গল লাগোয়া গাড়খুটা গ্রামে এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দু’টি দেশি পাইপগান। ফালাকাটা সশস্ত্র সীমা বলের ১৭ নম্বর ব্যাটিলিয়নের জওয়ান ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র দু’টি উদ্ধার করে। তবে কোনও গুলি পাওয়া যায়নি ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের নাম হরিপদ রায় (৪০)। গাড়খুটা গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তাঁর বাড়ির শৌচাগারের চালের উপরে পাইপগান দু’টি রাখা ছিল। ভোট চলাকালীন সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়।

ফালাকাটার এসএসবি-র ১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এএস আই বিপুল কুমার রায় বলেন , “আমাদের কাছে খবর ছিল ধূপগুড়ির গাড়খুটা গ্রামে অস্ত্র মজুত করে রাখা আছে। শনিবার দুপুরে ধূপগুড়ি থানাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দু’টি দেশি পাইপ গান সহ হরিপদ রায়কে ধরা হয়। ” অভিযুক্ত হরিপদবাবু বলেন, “কী ভাবে ওই অস্ত্র আমার বাড়ির সুপারি বাগানের শৌচাগারের উপরে এল তা বুঝতে পারছি না। আমি সিপিএম করি বলে কেউ ফাঁসানোর জন্য অস্ত্রগুলি ওখানে রেখে যেতে পারে।”

Advertisement

ধূপগুড়িতে সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে ভোটের মুখে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়কে সামনে রেখে সরব হয়েছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক রাজেশ (গুড্ডু) সিংহ বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছরে অস্ত্র দেখিয়ে ভোটে জিতে এসেছিল। এবারও হেরে যাওয়ার ভয়ে গ্রামে গ্রামে তাঁদের কর্মিদের বাড়িতে অস্ত্র মজুত করে রেখেছে। যা ভোটের দিন সন্ত্রাস করার জন্য হার্মাদ বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। ”

ধূপগুড়ি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন , “কোথায় অস্ত্র পেল এবং এই অস্ত্র লেনদেনে আর কারা জড়িত তা জানতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement