বদ্ধ: রবিবারের বৃষ্টিতে জলমগ্ন ইংরেজবাজার শহরের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন এলাকা। নিজস্ব চিত্র
কখনও ঝিরঝিরে, কখনও মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে মালদহে। রবিবার দিনভর বৃষ্টিতে জল জমেছে ইংরেজবাজার শহরের একাধিক এলাকায়। করোনা-পরিস্থিতিতে জমা জল নিয়ে ডেঙ্গির আতঙ্কে ভুগছেন শহরবাসী।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে মালদহে। আক্রান্তদের অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক হলেও ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক নার্স এবং নিরাপত্তারক্ষী আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শহরবাসীর আতঙ্কে রয়েছেন বর্ষার জমা জল নিয়ে। শনিবার থেকেই মালদহে বৃষ্টি হচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি বেড়েছে জেলায়। অভিযোগ, তাতে জল জমেছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। শহরবাসীর একাংশের দাবি, ইংরেজবাজারের নিকাশি সমস্যা ফি বছরের। শুখা মরসুমেই নিকাশি নালা উপচে রাস্তায় ওঠে নর্দমার জল। বৃষ্টিতে নিকাশির আরও বেহাল দশার ছবিই ফুটে উঠেছে শহরে। শহরের আনাচে-কানাচে জল জমে যাওয়ায় ডেঙ্গির আতঙ্কে ভুগছেন শহরবাসীর অনেকে। উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরগুলিতে ইংরেজবাজার শহরে শয়ে শয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জেলায় ডেঙ্গির আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকই শহরের বাসিন্দা। যদিও এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর নেই বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তবে ডেঙ্গি নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন। মালদহের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, ডেঙ্গির মশা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে। বর্ষায় বাড়ির আনাচে-কানাচে জল জমে যায়। এমনকি, বাড়ির ছাদে, টবেও জল জমে থাকে। তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে।
ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভার ভুমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবির। তাদের দাবি, একটানা ভারী বৃষ্টি হলে জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে ইংরেজবাজার শহর। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “শহরের হাইড্রেনগুলি মজে গিয়েছে। সংস্কার করা হচ্ছে না। বেশি বৃষ্টি হলে শহরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।” ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে নামানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার কাজ করছেন তাঁরা। নিকাশি সংস্কার থেকে শুরু করে মশা দমনেও কাজ করা হচ্ছে।”