Vandalism

ভেঙে দেওয়া হল নিবেদিতার বেদী

দার্জিলিঙের মুর্দাহাটিতে ভগিনী নিবেদিতার পাশাপাশি, কবি আগম সিংহ গিরি, রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতো আরও অনেকের মূর্তিও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৪
Share:

বেদীস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভগিনী নিবেদিতার মূর্তি। নিজস্ব চিত্র

ভগিনী নিবেদিতার সমাধি বেদীর একাংশ ভাঙা এবং এক কোণে তাঁর মূর্তি ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল দার্জিলিঙে। মঙ্গলবার তেমনই ঘটেছে অভিযোগে তদন্ত চেয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন নিবেদিতা শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।

Advertisement

দার্জিলিঙের মুর্দাহাটিতে ভগিনী নিবেদিতার পাশাপাশি, কবি আগম সিংহ গিরি, রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতো আরও অনেকের মূর্তিও রয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রামকৃষ্ণ মিশন এবং বেদান্ত আশ্রম। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বুধবার বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। পুলিশ, পুর-আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।’’ এ সবের দেখভালের দায়িত্ব দার্জিলিং পুরসভার। জিটিএ-র চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। নিশ্চয়ই কোনও দুষ্কৃতীর কাজ। ভগিনী নিবেদিতার সমাধিস্থল ঠিক করে আগের অবস্থায় ফেরানো হবে।’’

সূত্রের খবর, গত ২৭ ডিসেম্বর এক দল ভক্ত নিবেদিতার সমাধিস্থলে গিয়েছিলেন। সে দিন বিকেলে তাঁরাই ভাঙা মূর্তি পড়ে থাকার বিষয়টি রামকৃষ্ণ মিশনে জানান বলে দাবি। বুধবার রামকৃষ্ণ মিশন, বেদান্ত আশ্রমের প্রতিনিধিরা পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা জানিয়েছেন, সমাধিবেদী ভেঙে ভগিনী নিবেদিতার মূর্তিটি এক দিকে ফেলে রাখা হয়। ভেঙেছে নামফলকও। আশ্চর্যজনক ভাবে বেদীর জায়গায় গেরুয়া রঙের ‘টাইল’ লাগানো। পাশেই নতুন বড় কফিনে ভগিনীর মূর্তি পড়েছিল। তা থেকে অনুমান, কেউ বা কারা আকারে বড় নিবেদিতার মূর্তি বসাতে চেয়েছিল। এর সঙ্গে কোনও সংস্থা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ।

Advertisement

দার্জিলিঙ রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদক স্বামী পরানন্দ জানান, ভগিনী নিবেদিতা অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে কলকাতা থেকে দার্জিলিঙে নিয়ে আসেন জগদীশচন্দ্র বসু। ১৯১১ সালের ১৩ অক্টোবর দার্জিলিঙের রায়ভিলায় মৃত্যু হয় নিবেদিতার। রায়ভিলা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে মুর্দাহাটিতে তাঁকে দাহ করা হয়েছিল। বেদান্ত মঠ ১৯৯৯ সালে ভগিনীর সমাধির উপরে তাঁর মূর্তি বসায়। তাঁর অস্থিখণ্ডও রাখা হয়। ২০১৩ সালে দার্জিলিঙে রামকৃষ্ণ মিশন তৈরি হলে, সমাধির সংস্কার হয়েছিল। মূর্তি কাচ দিয়ে ঘেরা হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী, কেউ এই সমাধিবেদীর সংস্কার করতে চাইলে, প্রশাসন ও বেদান্ত আশ্রমের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু কোনও পক্ষকেই কিছু জানানো হয়নি বলে সূত্রের খবর।

দার্জিলিঙের রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রমের স্বামী অক্ষয় পুরী বেদান্ত ভগিনী নিবেদিতার পুরনো মূর্তিটি আশ্রমে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মূর্তি এবং বেদী আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিলে মেনে নেব। এ ঘটনা ভক্তদের মনে আঘাত দিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement