প্রতীকী ছবি।
বৌমাকে শ্বশুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ শাশুড়ি। রাজি করাতে বধূর হাতে-পায়েও ধরেছিলেন তিনি। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। সোমবার কোচবিহারের ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে কুনজরে দেখতেন তাঁর শ্বশুর। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি শাশুড়ি নিজেই শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। বধূর অভিযোগ, গত সোমবার শাশুড়ি এসে তাঁর হাতে-পায়েও পড়ে যান। শাশুড়িই তাঁকে জানান, ঘনিষ্ঠ না হলে শ্বশুর আত্মহত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন। এর পরেও প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই বধূ। তাঁর দাবি, এই ঘটনার কথা স্বামীকেও জানিয়েছিলেন তিনি। স্বামী কোনও উচ্চবাচ্য না করায় পড়শিদের জানাতে বাধ্য হন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর কীর্তির কথা জানাজানি হতেই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা এসে শ্বশুরকে আটক করে বেঁধে রাখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এর পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত করে নিয়ে যায়। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বধূ। ওই বধূর শাশুড়ি বলেন, ‘‘আমার স্বামী আত্মহত্যার ভয় দেখিয়েছিল। এ কথা পুত্রবধূকে জানিয়েছিলাম আমি।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেন নিয়েছেন শ্বশুর। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি ধর্ষণ করেছি। তার কারণও রয়েছে। কিন্তু সেটা কী, এখন বলব না।’’