প্রতীকী ছবি
অসম থেকে মালদহের বামনগোলায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বছর কুড়ির ওই যুবতী। পরে মায়ের সঙ্গে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন এলাকায় এক মাসির বাড়ি যান। পরিবারের অভিযোগ, সেখান থেকেই তাঁকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে সঙ্গে করে বামনগোলার পাকুয়াহাটে নিয়ে যায় এক যুবক। পরে তার সঙ্গে আরও তিন-চার জন মিলে মেয়েটিকে রাতভর গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই যুবতীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পরিবারের তরফে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মামার পরিবারের দাবি, থানা থেকে মেয়েটির চিকিৎসার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। তাই মৌখিক ভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে মায়ের সঙ্গে বামনগোলার একটি গ্রামে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ওই যুবতী। চার দিন সেখানে কাটানোর তিনি যান তপনে মাসির বাড়ি। অভিযোগ, কুপাদহ এলাকার দুই যুবক পাকুয়াহাটে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে মঙ্গলবার সকালে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়। রাতভর ওই যুবতীর খোঁজ পায়নি মামার পরিবার। এ দিন সকালে ওই এলাকা থেকেই যুবতীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মামার বাড়ির লোকজন। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
ওই যুবতীর মামার দাবি, সম্ভবত ভাগ্নিকে নেশার কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তাই মেয়েটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্নিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকে তপন থানায় নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রথমে ভাগ্নি ধর্ষণের কথা বলেনি। তখন পুলিশ চিকিৎসা করাতে বলে। আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। সেখানে সে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।’’
পরিবার সূত্রে দাবি, এই অবস্থায় যুবতীকে বামনগোলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার পুলিশ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলায় মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মামা বলেন, ‘‘আমরা ভাগ্নির মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলে মামলা করব। সেটা এ দিন সন্ধে অবধি মেলেনি।’’ পরিবারের দৃঢ় বিশ্বাস, মেয়েটিকে নেশাগ্রস্ত করে তাঁর উপরে অত্যাচার চালিয়েছে ওই দুই যুবক। তাদের আরও দু-তিন জন সঙ্গী থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়, বলছেন মামাবাড়ির লোকেরা। পাশাপাশি মেয়েকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা, তাই নিয়েও তাঁরা সন্দিহান। মেয়ের শারীরিক অবস্থা নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন। যুবতীর মামি বলেন, ‘‘এখানে ঘুরতে এসে ভাগ্নির যে এমন ঘটবে, তা আমরা ভাবতেই পারছি না। বামনগোলা থানা, তপন থানা বিষয়টি জানে।’’
এই নিয়ে তপন থানা থেকে বলা হয়, ‘‘মালদহের বামনগোলা থানা এলাকার ঘটনা। তাই আমরা সেই থানায় পাঠিয়েছি।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকে ফোন করা হয়, মেসেজও পাঠানো হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজের জবাবও দেননি।