পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল-বিজেপির হামলা পাল্টা হামলার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা ব্লক। অভিযোগ বুধবার রাত্রে দিনহাটার বড় শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তাপস দাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আর এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে হামলা এবং গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি।
অভিযোগ বুধবার রাতে দিনহাটা শহরের পাঁচমাথা মোড়ে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তাপস। সেই সময় নিগমনগর ঘাটপাড় এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে কয়েক জন দুষ্কৃতী নিজেদের বাইক ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালায়। কয়েক জনকে তৃণমূল কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন অন দুষ্কৃতীদের। ঘটনার খবর পেয়ে সাহেবগঞ্জ থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের হাতে আটক দুষ্কৃতীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তাপসের অভিযোগ, এর আগেও তাঁর বাইক আটকে হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলাগুলির পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। বুধবার রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যদিও গুলি তার শরীরে লাগেনি। তবে তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টায় ছিল দুষ্কৃতীরা।
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, বুধবার রাতে নিগমনগরের পার্টি অফিসে তৃণমূল কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। অফিস লক্ষ্য করে ঢিল পাথর ছোঁড়া হয়। এমনকি গুলিও চলে। বিজেপির পক্ষ থেকে সাহেবগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ১২ জন বিজেপি কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে ছেড়ে দিলও ৭ জনকে পুলিশ আটক করে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, “এই পার্টি অফিসে হামলার পর গভীর রাতে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী বিজেপির আরও ২টি কার্যালয় ভাঙচুর করে।” তাঁর অভিযোগ, পুলিশ হামলাকারী তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার না করে উল্টে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে মানুষ তাদের চাইছে না। তাই তারা হিংসার রাজনীতি বেছে নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিজেপি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।