টিএমসিপির মিছিলে যেতে অস্বীকার করায় এক ছাত্রকে মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
হলদিবাড়ি কলেজের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্র ডিএসও সমর্থক। আক্রান্ত ছাত্রটি হলদিবাড়ি থানায় টিএমসিপির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এঁদের মধ্যে তিনজন কলেজের ছাত্র হলেও, অন্য দু’জন বহিরাগত বলে তাঁর দাবি।
কপিল বর্মন নামে বাঙলা অনার্সের ওই ছাত্র জানান, সোমবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের মিছিলে যেতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকার করেন। তখনই তাঁর উপর চড়াও হয় টিএমসিপির ওই সদস্যরা। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ফেলে পেটানো হয়। ওরা বলে পড়াশোনা করতে হলে টিএমসিপি করতে হবে। না হলে মেরে ফেলা হবে।’’
কপিল জানায়, বেলা বারোটা নাগাদ নিজের ক্লাসে বসেছিলেন তিনি। এ সময় আচমকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল সদস্য প্রথম বর্ষের ক্লাসে ঢোকে। কপিলকে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে যেতে বলা হয়। কারণ কপিল এসইউসিআইএর ছাত্র সংগঠন ডিএসওর সদস্য। মিছিলে যেতে অস্বীকার করায় শুরু হয় মারধর। তাকে ক্লাস রুমের বাইরে নিয়ে এসে করিডরে ফেলে পেটানো হয়।
মারধর করে তৃণমূলের সদস্যরা চলে গেলে কপিল কলেজের অধ্যক্ষর ঘরে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু অধ্যক্ষ কোনও দায় নিতে চাননি বলে কপিলের অভিযোগ। তিনি বলেন ‘‘আমাকে অধ্যক্ষ ঘর থেকে বার হয়ে যেতে বলেন। তিনি কোনও দায়িত্ব নিতে চাননি।” হলদিবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ তরুন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আমি তখন একটি সভায় ব্যস্ত ছিলাম। ছাত্রটিকে পরে আসতে বলেছিলাম।”
এরপরেই হলদিবাড়ি থানায় গিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অবিযোগ দায়ের করেন কপিল। যে পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের নাম রবীন্দ্রনাথ রায়, মামন সরকার, সুদীপ মণ্ডল, কালসার সরকার এবং মজিদুল হক। প্রথম তিনজন কলেজের ছাত্র এবং শেষ দু’জন বহিরাগত বলে দাবি করা হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্রপরিষদের হলদিবাড়ি ব্লকের সভাপতি বাপি সেন অবশ্য এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে তারা কেউ আমাদের দলের সদস্য নয়। ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতিরও কোনও সম্পর্ক নেই।”
যদিও ডিএসওর হলদিবাড়ি ব্লকের সম্পাদক জহিদুল হক বলেন, “ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। কারণ কপিল ডিএসও করে বলেই তাকে উপর হামলা চালানো হয়েছে।”
হলদিবাড়ি থানার আইসি প্রবীন প্রধান বলেন, “দুপক্ষ থেকেই লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”