প্রতীকী ছবি।
এক তরুণীকে গণধর্ষণের রেশ না কাটতেই এ বার কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের চাঁচলে। পুকুরে জামাকাপড় কাচার সময় ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনার পর রাতে প্রতিবেশী দুই কিশোরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান মা। রবিবার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দু’দিন আগেই চাঁচলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাঁচজনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা ঘরা না পড়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা। যদিও চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও জারি রয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, পুকুরে একাই ছিল কিশোরী। কিছুক্ষণ বাদে সেখানে পৌঁছয় দুই কিশোর। প্রতিবেশী হওয়ায় কিশোরী গুরুত্ব দেয়নি। আচমকাই এক কিশোর তার মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে। প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে পুকুরের অন্যদিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই কিশোরীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা পৌঁছনোর আগেই দুই কিশোর পালিয়ে যায়। বাসিন্দারাই কিশোরীকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
কিশোরীর বাবা দিনমজুর। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে কিশোরী মেজো। বাড়ির পাশে ওই পুকুরে কিশোরী নিয়মিতই গেরস্থালির কাজে যায়। কিন্তু যে ভাবে দিনের আলোয় কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে তাতে পরিবারের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। কিশোরীর মামা এ দিন বলেন, ‘‘পরিচিত দুই প্রতিবেশী যে এমন সর্বনাশ করতে পারে ভাবতেই পারছি না। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’’