মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
স্বাস্থ্য দফতরের পোস্টারে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে রং লাগিয়ে বিকৃত করার অভিযোগ উঠল শহরে। বুধবার শিলিগুড়ি হাসপাতালের ঘটনা। এ দিন এক রোগী পোস্টারের ওই হাল দেখে তৃণমূল নেতাদের ফোন করলে ছুটে আসেন দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ও অন্য তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্ত্বর। পরে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নেতারা। পুলিশ তিন রংমিস্ত্রিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
হাসপাতালের আপৎকালীন বিভাগের পাশে অনেক উঁচুতে লাগানো রয়েছে ওই পোস্টার। এখন হাসপাতালে রঙের কাজ হচ্ছে। পোস্টারের নীচ দিয়ে আগুন নেভানোর জলের পাইপটি সম্প্রতি রঙ করা হয়েছে। সেই রঙের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে লাগানো রঙের মিল রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। এ দিন অভিযোগের পরে পুলিশ এসে পোস্টারটি নামায়। তখন রঞ্জন এবং অন্যরা ছবিটির বিকৃতিগুলি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা না হওয়ায়, সেটি ঢেকে রাখা হয়। রঞ্জন বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কিছু লোক। চোখের আড়ালে তা করা হয়েছে। যাঁরা এসব করতে চাইছে সাহস থাকলে সামনে করে দেখাক।’’ দলের দু’নম্বর টাউন ব্লক সভাপতি বেদব্রত দত্ত শিলিগুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা খতিয়ে দেখছি কারা এটা করল। আমরা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি।’’ হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরাও একটি তদন্ত শুরু করেছি।’’ হাসপাতাল চত্ত্বরে রয়েছে ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। সারাদিন পাহারায় থাকে পুলিশ। এ ছাড়াও থাকেন ৩০ জন নিরাপত্তারক্ষী। এর মাঝে কে বা কারা ছবি বিকৃত করল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে শহর জুড়েই নানারকমের প্রচুর পোস্টার লাগানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, তিনবাতি মোড়ে, উত্তরকন্যার কাছেও মুখ্যমন্ত্রীর কয়েকটি ছবি বিকৃত করা হয়েছে। রঞ্জনের দাবি, ভক্তিনগর থানা এবং এনজেপি থানা এলাকাতেও কিছু পোস্টারে এরকম বিকৃতি তাঁদের নজরে এসেছে। সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।