নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। মালদহের কালিয়াচকের ২ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েতটি তৃণমূল পরিচালিত।
অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান ধনীরানি মণ্ডল কয়েক লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছেন। শুধু তাই নয়, সেই অভিযোগ থেকে নিজের গা বাঁচাতে দুই সুপারভাইজারকে একই অভিযোগে সাসপেন্ড করেছেন তিনি। এই ঘটনার পরই তুমুল বিক্ষোভ দেখান সুপারভাইজার সমিতির সদস্যরা। ওই দু’জনকে পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন তাঁরা। দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুপারভাইজারদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান নিজের দুর্নীতি ঢাকতে এবং সরকারি কর্মীদের বাঁচাতে ওই দু’জনকে সাসপেন্ড করেছে। এর পরই তাঁরা জানান, দ্রুত সাসপেন্ড অর্ডার প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা। শেষমেশ চাপের মুখে সুপারভাইজারদের পুনর্বহালের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
অন্য দিকে, এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি-র কটাক্ষ, তৃণমূল পরিচালিত সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। তাই নিজেদের বাঁচাতে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে পঞ্চায়েতগুলি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার। তিনি বলেন, “অনেক সময় পঞ্চায়েত প্রধানরা জানতে পারেন না কোথায় কী দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের যোগসাজশে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।”