প্রতীকী ছবি।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্নাতক বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ছাত্রছাত্রীরা।
সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে। ওই ছাত্রী গোটা ঘটনা জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
তাঁর অভিযোগ, গত প্রায় এক মাস ধরে কলেজের বাস্তুবিভাগের শিক্ষক অনিমেষ রায় তাঁকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে তাঁকে নানা জায়গার যাওয়ার প্রস্তাব দিতে শুরু করেন। কলেজের মধ্যেও তাঁকে নানা সময়ে একা নিজের ঘরে ডেকে নিতে শুরু করে ওই শিক্ষক। ভয়ে কিছু দিন কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেন ওই ছাত্রী।
এই অবস্থায়, কলেজের অভ্যন্তরীন নিয়ম রক্ষা কমিটিকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অধ্যক্ষ প্রবীর সরকার। তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পরেই ওই ঘটনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেষবাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এর বেশ কিছু বলতে চাই না। তদন্তে প্রমাণিত হবে আমি দোষী না নির্দোষ।”
তিনি যে ওই ছাত্রীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং করতেন তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। ওই ছাত্রী বলেন, “আমি ভয়ে কিছু বলতে পারছিলাম না। পরে দেখলাম যে পথে এগোচ্ছেন, তাতে আমার পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সাহস করে প্রতিবাদ করেছি।”
ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই জানান, মাস খানেক আগে কলেজে দুই ছাত্রের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার তদন্ত হয়। কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিতে অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেষবাবু রয়েছেন। অভিযোগ, তিনি ওই ছাত্রীর নাম র্যাগিং নিয়ে জড়িয়ে গিয়েছে বলে আচমকা ভয় দেখাতে শুরু করেন।
অভিযোগ, তারপর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাড়িতে কয়েক দফায় যান। সুযোগ পেলেই তিনি ওই ছাত্রীকে টিচার রুমের আলাদা কক্ষে ডেকে নিতেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সকালে, রাতে নানা সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন বলেও ছাত্রীর দাবি।
আন্দোলনকারী নেতা তথা কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অনুপম দাস বলেন, “একজন শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছিলেন, তা ভাবা যায় না। শিক্ষকের খারাপ মতলব ছিল তা হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই পরিষ্কার। তাঁর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।”