খসড়া আসন সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। শুরু হয়েছে ঘর গোছানোর পালা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছে কোচবিহারের যুযুধান শিবিরের রাজনৈতিক দল।
ওই ব্যাপারে ডান-বাম সব পক্ষই তৎপর হয়ে উঠেছে। ঘরোয়া আলোচনা, কর্মী বৈঠক থেকে প্রকাশ্য সভার কাজও শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই সঙ্গে চলছে বুথ ভিত্তিক সংগঠন চাঙা করার প্রক্রিয়াও। শাসক ও বিরোধী সব শিবিরের অন্দরে সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে তাতছে প্রাক পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি উত্তেজনা। শুরু হয়েছে দাবি, পাল্টা দাবির তরজাও। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, শুক্রবার তুফানগঞ্জে দলের দফতরে কর্মিসভা করে কংগ্রেস। শনিবার দিনহাটায় প্রকাশ্য সভা করেছে তৃণমূল। রবিবার কোচবিহারে সভা করে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন।
পঞ্চায়েতের কথা মাথায় রেখেই হোমওয়ার্ক করে এগোতে চাইছেন কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। মহকুমা ভিত্তিক সভা বৈঠক করে সাংগঠনিক ভিতের ছবিটা বুঝে নিতে চাইছেন তারা। দলের জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “এ বারের পরিস্থিতি অনেক ভাল। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ভোট হওয়া দরকার।”
সিপিএমের তরফে বৃহস্পতিবার কোচবিহার রবীন্দ্র ভবনে সভা করা হয়েছে। মার্চের মধ্যে জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েতে মার্চের মধ্যে সভা করে প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করতে চাইছে তারা। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “বামফ্রন্টগত ভাবে আলোচনা করে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। তবে ভোটটা অবাধ হওয়া দরকার।”
বসে নেই বিজেপিও। শহরের সুকান্ত মঞ্চে কর্মিসভা করেছে তারা। দলের রাজ্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি দলের শিক্ষক সেলের সভার প্রস্তুতিও এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাক বৈঠকে যোগ দিতে জেলা নেতারা যাচ্ছেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একাধিক সভা, বৈঠক করা হয়েছে। শাসকদলের সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশে অবাধ ভোট হলে বিজেপি সব আসনেই জিতবে।”
জোর প্রস্তুতি চলছে শাসক দলেও। দলের নেতারা এলাকা ভিত্তিক সভা, সাংগঠনিক কর্মসূচি নিচ্ছেন। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ শতাধিক কর্মিসভা করেছেন। তিনি বলেন, “উন্নয়নের নিরিখেই মানুষ তৃণমূলকে আশীর্বাদ করবেন।” বিরোধীদের আশঙ্কার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন রবীন্দ্রনাথবাবু। পঞ্চায়েতের আগে সাংগঠনিক শক্তি বোঝাতে দিনহাটায় সভা হচ্ছে। উদয়নবাবু অবশ্য বলছেন, “পঞ্চায়েতে একক ভাবে প্রার্থী দেওয়ার মতো সাংগঠনিক অবস্থা কোনও বিরোধী দলের নেই। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা সাংগঠনিক ভিত আরও মজবুত করতে জোর দিচ্ছি।”