কৃষক সভার অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে পুলিশের লাঠির চালানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।
শনিবার সিপিএমের ধূপগুড়ি কার্যালয় থেকে মিছিল গোটা শহর পরিক্রমা করে। শেষে আন্দোলনকারীরা ধূপগুড়ি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ধূপগুড়ির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মমতা রায়, সিআইটিইউ রাজ্য নেতা জিয়াউল আলম, কৃষক সভার নেতা প্রাণগোপাল ভাওয়াল-সহ অন্যরা।
প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে আবরোধ চলে। যার জেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়ে জাতীয় সড়ক লাগোয়া ধূপগুড়ি শহরের যান চলাচলেও।
এই কর্মসূচির কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল সংগঠনের তরফে। তাই কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ধূপগুড়ি থানার পুলিশ পৌছে যায় ঘটনাস্থলে। চেষ্টা হয় অবরোধ তুলে দেওয়ার। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
প্রাণগোপাল ভাওয়াল বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারকে এই কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কৃষকদের উপর পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আগামি ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের সমর্থনে এই পথ অবরোধ। আইন বাতিল না করলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে।”