প্রতীকী ছবি।
এবার আলিপুরদুয়ার জেলায় বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু করছে পুলিশ। গত সপ্তাহে আলিপুরদুয়ার শহরে লাইসেন্সড পিস্তলের গুলিতে বাপি পণ্ডিত নামে এক যুবকের খুনের ঘটনার পরই পদক্ষেপ করল জেলা পুলিশ।
সোমবারই বন্দুকের নতুন লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। পাশাপাশি, বন্দুকের যে সমস্ত পুরনো লাইসেন্স রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চাইলেন নতুন পুলিশ সুপার।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের উত্তর অরবিন্দনগরে শরিকি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে খুন হন বাপি পণ্ডিত। অভিযোগ ওঠে বাপির খুড়তুতো দাদা বিপ্লব বসাকের দিকে। তিনিই লাইসেন্সড পিস্তল থেকে গুলি করে বাপিকে খুন করেন বলে বাপির পরিবারের অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন ওঠে, অবাধে পিস্তলের লাইসেন্স দিচ্ছে কেন প্রশাসন। এমন প্রশ্নও উঠেছে, অভিযুক্ত যুবক এমন কী কাজে যুক্ত, যে তাঁকে পিস্তল নিয়ে ঘুরতে হয়। কেন তিনি লাইসেন্সড পিস্তল পেলেন। এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর পরেই জেলা পুলিশের এই পদক্ষেপ। বাসিন্দাদের দাবি ছিল, যে কেউ আবেদন করলেও যাতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে লাইসেন্স দেওয়া হয়, সেটা পুলিশ দেখুক। পুলিশ সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
জেলা পুলিশ সুপার এ দিন বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার জেলায় নতুন কোনও বন্দুকের লাইসেন্স আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় যে সমস্ত ব্যক্তির বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি।’’