প্রতীকী ছবি।
করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়িয়ে কেউ কেউ আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছেন। এই অভিযোগে এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তারা। গুজবের মোকাবিলায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মার একটি ভিডিও বার্তা এ দিন প্রকাশ করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
চিনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসকে ঘিরে ইতিমধ্যেই হইচই চলছে গোটা বিশ্বে। সেই হইচইয়ের মধ্যেই গত ২৬ জানুয়ারি কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার হ্যামিল্টনগঞ্জে বাড়িতে ফেরেন চিনের গুয়াংঝউ-এর এক হোটেলে কাজ করা এক কর্মী। কিন্তু তিনি যে চিন থেকে ফিরেছেন, দিন ছয়েক আগে তা জানতে পেরে, তাঁর বাড়িতে ছুটে যান জেলার শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা। ততদিনে ওই ব্যাক্তি তাঁর নিজের কাজে কলকাতা চলে গিয়েছিলেন।
কোনও ঝুঁকি না নিয়ে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যাক্তি আলিপুরদুয়ারে ফিরতেই তাঁর পরীক্ষা করেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎকেরা।
ওই ব্যক্তির শরীরে যে করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষ্মণ নেই, ওই রাতেই সেটাও জানিয়ে দেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। কিন্তু এর পরেও সোশ্যাল মিড়িয়া জুড়ে নানা গুজব ছড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযোগ। যার পাল্টা হিসাবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মার একটি ভিডিও বার্তা এ দিন প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে মুখ্য
স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে হ্যামিল্টনগঞ্জের ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। উনি সুস্থ। করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষ্ণণ ওঁর শরীরে নেই। উনি আমাদের পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ বিষয়টিকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে আতঙ্কের ছড়াতে চাইছেন। যারা এমনটা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘মহিলা কন্ঠের কেউ বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আমারা জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’’ গুজব রুখতে, পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে বলে উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।