Tribal woman

আদিবাসী বধূ ধর্ষণের চেষ্টা, ক্ষোভ

শিশুসন্তানের টিকাকরণ করিয়ে এলাকার একটি স্বাস্হ্যকেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামের কিছুটা আগে রাস্তার ধারে একটি বাড়ি থেকে দুই অভিযুক্ত আচমকা বেরিয়ে ওই বধূর উপর চড়াও হয় যৌন নিগ্রহ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

তপন শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল। বুধবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন এলাকাবাসী। রাতে স্হানীয় এক দল আদিবাসী রামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে বালুরঘাট থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছন জেলা পুলিশ সুপার। গভীর রাতে পুলিশ তল্লশিতে নেমে তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে ধরলে উত্তেজনা কমে। তবে অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকায় ক্ষোভ ছিল।

Advertisement

এ দিন পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে তল্লাশি চলছে। এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বুধবার রাতেই নিগৃহীতা তপন থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে শিশুসন্তানের টিকাকরণ করিয়ে এলাকার একটি স্বাস্হ্যকেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামের কিছুটা আগে রাস্তার ধারে একটি বাড়ি থেকে দুই অভিযুক্ত আচমকা বেরিয়ে ওই বধূর উপর চড়াও হয় যৌন নিগ্রহ করে। দু’জনে মিলে জোর করে তাঁকে ওই বাড়ির ভিতরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরে আরও এক জন এসে তাঁকে হুমকি দেয়। মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে আসেন। বেগতিক দেখে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়।

Advertisement

গ্রামে ফিরে গিয়ে ঘটনার কথা সবাইকে বলেন ওই মহিলা। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ভিড় বাড়তে থাকে। রাতে স্হানীয় ফাঁড়ি ঘেরাও করে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। স্হানীয় বিজেপি নেতারাও বিক্ষোভে সামিল হন বলে অভিযোগ। উত্তেজনার খবর পেয়ে এলাকায় যান স্হানীয় তৃণমূলের আদিবাসী সেলের নেতারা।

এ দিন জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মণ অভিযোগ করেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজবংশী ও আদিবাসীদের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তপনের ওই এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সমরেন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, ওই ঘটনাকে ঘিরে জমায়েত করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। দলের স্হানীয় আদিবাসী নেতারা আইনের পথে দোষীদের শাস্তি হবে বলে সকলকে বোঝান। এক অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পরিস্হিতি স্বাভাবিক হয়। ফের যাতে অশান্তি না হয়, দলের তরফে সে দিকে নজর রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement