ভোরের আলো।—ফাইল চিত্র।
গত বছর অক্টোবরে উদ্বোধনের পরে অনলাইন বুকিং-এ ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছিল বলে প্রশাসনের দাবি। তার জন্য আগামী বছর পুজোর মধ্যেই গজলডোবায় ‘ভোরের আলো’য় সবমিলিয়ে ৫০টি সুদৃশ্য কটেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পর্যটন দফতরের।
শুক্রবার দুপুরে মৈনাক অতিথি নিবাসে পূর্ত দফতর ও পর্যটন দফতরের বাস্তুকারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৈঠকে কলকাতা থেকে আসা পূর্ত দফতরের ১৮ জন বাস্তুকারও যোগ দেন। সেখানে উড়ালপুল এলাকার জমিদাতাদের দ্রুত প্যাকেজ দিয়ে কাজ করার কথা ঠিক হয়। সেই সঙ্গে আগামী বছরের মধ্যে নতুন কটেজ, উড়ালপুল এবং বাকি সব কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন গৌতম দেব।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সময় বেঁধে সমস্ত কাজ করছে। গজলডোবার ক্ষেত্রে তা আরও কড়াভাবে বজায় রাখা হবে। আগামী বছরের পুজোর আগে নতুন কটেজ ও অন্য কাজ শেষ করা হবে।’’ তিনি জানান, বর্তমানে ‘ভোরের আলো’য় পাঁচটি কটেজ রয়েছে। তাতে অনলাইনে বুকিং হয়। কিন্তু দিনের পর দিন চাহিদা বেড়ে চলায় পর্যটন দফতর সব মিলিয়ে ৫০টি কটেজ তৈরি করবে। এর পাশাপাশি যুব কল্যাণ দফতরের ২০টি ঘর এবং একটি বেসরকারি সংস্থার প্রকল্পে ২৫টির মত ঘরে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। এ বার পুজোর আকর্ষণ হিসাবে চারটি হাতি দিয়ে হাতি সাফারি, ভোরের আলো থেকে সরস্বতীপুর হয়ে বেঙ্গল সাফারির আগে পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা এবং সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
পর্যটন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জমিদাতাদের জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা হচ্ছে। সেখানে নিকাশি, পানীয় জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর কাজ হবে। উড়ালপুলের কাজের পরে জমি বাঁচলে তা ফের ওই মালিকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।