Rail Roko in Cooch Behar

কয়েক ঘণ্টায় শেষ ‘রেল রোকো’ আন্দোলন! পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে উত্তরবঙ্গে, ফিরল স্বস্তি

কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘রেল রোকো আন্দোলন’ শুরু হয়। ক অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই রেলস্টেশনে শুরু হয় জমায়েত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২৫
Share:

কোচবিহারে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন। —নিজস্ব চিত্র।

সকাল থেকে শুরু হওয়া ‘রেল রোকো’ আন্দোলন শেষ হয়ে গেল দুপুরে। কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে আট বছর পর আবার আন্দোলন শুরু করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৬ সালে প্রায় ৮০ ঘণ্টা রেল অবরোধ হয়েছিল। এ বার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ। তিনি জানান, বেলা ১২টা নাগাদ আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব রেলে পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে।

Advertisement

বংশীবদনের ঘোষণা মতো বুধবার থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘রেল রোকো আন্দোলন’ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাত থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জমায়েত শুরু করেন অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই রেলস্টেশনে। বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই ওই কর্মী-সমর্থকেরা রেলপথে বসে পড়েন। হাতে ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে স্লোগান তোলেন তাঁরা। এর জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল পরিষেবা প্রভাবিত হয়। বাতিল হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বঙ্গাইগাঁও নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ইত্যাদি। ঘুরপথে যাত্রা করে ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার অরুণাচল এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি এক্সপ্রেস এবং কামাখ্যা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস। ‘রেল রোকো’র প্রভাব পড়ে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে। সেখানে একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অসুবিধায় পড়ে যান প্রচুর যাত্রী। অসমগামী যাত্রী শ্যামলকুমার শইকিয়া বলেন, ‘‘যাত্রাপথে আমরা পরিকল্পনা নিয়ে চলি। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে এনজেপি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। গুয়াহাটি পৌঁছনোর পরেও আমাদের অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছতে হয়।’’ বিক্রম রায় নামে আর এক যাত্রী বলেন, ‘‘এনজেপি-তে ট্রেন দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ। আমার অন্য ট্রেন। কিন্তু লাইন খালি না হওয়ার সেই দূর পাল্লার ট্রেনও পৌঁছতে পারছে না৷ কাজেই ভোগান্তি রয়েছে।’’

এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেনন রেল দফতরের প্রতিনিধিরা। তাঁদের আশ্বাসে আপাত ‘রেল রোকো’ আন্দোলন তুলে নেওয়া হচ্ছে। বংশীবদনদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের দাবির কথা রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে বৈঠক চেয়ে স্মারকলিপি দিতে চান তাঁরা। রেলের তরফে সেই স্মারকলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেটারের দাবি, তাদের দাবি দাবিদাওয়ার বিষয়টি তিন দফতরে পৌঁছে দেবে বলে কথা দিয়েছে রেল। সেই আশ্বাস পেয়ে বেলা ১২টা নাগাদ অবরোধ তুলে নিয়েছে সংগঠন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement