শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে গোষ্ঠী প্রচারে অরূপ বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
আর মাত্র দিন দুয়েক বাকি। তার মধ্যেই পুরসভার প্রচার শেষ করতে হবে । তার জেরেই সোমবার সন্ধ্যেবেলা শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে গোষ্ঠী প্রচারে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু প্রচারের সময় তাঁর মন্তব্যের জেরে রা়জনৈতিক তরজা শুরু হল বিধান মার্কেট এলাকায়।
প্রচার চলাকালীন অরূপ বলেন, ‘‘বিধান মার্কেটে বহু দোকান রয়েছে। শুধু একটি দোকান নেই। যদি আমরা বোর্ড দখল করি তাহলে বিধান মার্কেটে একটি দোকান করতে হবে, যার নাম হবে নান্টু ভ্যারাইটি স্টোর্স। যেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের জার্সি পাওয়া যাবে। এমন কোন দল নেই যে সে করেনি, সিপিএম থেকে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল আর এখন বিজেপি।’’
প্রসঙ্গত এলাকার কাউন্সিলর নান্টু পাল একসময় এই মার্কেট পরিচালনা করতেন। মার্কেটে একাধিক বে-আইনি নির্মানকে কেন্দ্র করে তাঁর নাম বহুবার উঠে আসায় অস্বস্তিতেও পড়তে হয়েছে শাসকদলকে। তবে একসময় রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বদের প্রিয় পাত্র হিসেবে পরিচিত নান্টু বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তার জেরেই অরূপ এই মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এই নিয়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থী হওয়া নান্টু জানান, ‘‘মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের শিলিগুড়ির ভূগোল ইতিহাস জানা প্রয়োজন। দলে থাকলেই আমি মহান আর না থাকলেই বেইমান। বিধান মার্কেটে আমার কোনও দুর্নীতি নেই। আট মাস প্রশাসক নিয়োগ ছিলেন শিলিগুড়ি পুর সভায়। বিধান মার্কেটের একটি ইটও ভেঙে দেখাতে পারেননি। অরূপ বাবু নিজেই আমাকে দলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করেছিলেন। দল আমাকে ছুড়ে ফেলে দেয়নি বা শোকজ করেনি। আমি নিজের ইচ্ছায় দল ছেড়েছি।’’
অন্যদিকে অরূপ বিশ্বাসের পরই বিধান মার্কেটে প্রচারে নামেন দার্জিলিং জেলার বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ট। অরূপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের মন্ত্রী নেতারা কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি চলে আসে ঠিকই কিন্তু শিলিগুড়ি সম্পর্কে তাঁদের সঠিক ধারনা নেই। একজন মন্ত্রী হয়ে ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কটুক্তি করা মানেই ময়দানে তৃণমূল আর নেই।’’
অন্যদিকে এইদিন বিধান মার্কেটের পাট্টার সমস্যা নিয়েও অরূপ বিশ্বাসের কাছে আর্জি জানান ব্যাবিসায়ী সংগঠন।