কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিএড কলেজ ঘিরে চলছে সিবিআই তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রায় ৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর বেরোলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। কলেজের কর্ণধার সজল কর এবং শ্যামল করের বাড়িতেও এদিন দিনভর তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সকাল ১১:৩০ টা নাগাদ কলেজে প্রবেশ করে সিবিআইয়ের একটি দল এবং অপর দলটি সজলের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ টানা তল্লাশির পরে ওই কলেজ থেকে বেরিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখান থেকে বেরোনোর সময়ে লাল কাপড়ে বাঁধা বেশ কিছু নথিপত্রও তাঁরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সক্রিয় সিবিআই। রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলে সিবিআই অভিযান। কোচবিহারেও এদিন একইসঙ্গে সিবিআইয়ের দু’টি দল তল্লাশি অভিযান চালায়। কোচবিহার দু’নম্বর ব্লকের টেঙ্গনমারিতে অবস্থিত একটি বেসরকারি বিএড কলেজে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই কলেজের অন্যতম কর্ণধার সজল কর। তাঁর বাড়িতেও দিনভর তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা। তল্লাশি শুরুর কিছু সময় পরেই সজলকে তড়িঘড়ি ডাকা হয় কলেজে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর পর জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলে কলেজের ভিতরেই। বিকেলের পর সজলকে সঙ্গে করে নিয়ে মহিষবাথান পরেশ কর চৌপতিতে অবস্থিত তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকেরা এবং সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ সজলকে সিবিআই আধিকারিকেরা পুনরায় কলেজে ছেড়ে দিয়ে আসেন। সজল তাঁর পরিবার নিয়ে কলেজের ভিতরে কোয়ার্টারে থাকেন। শ্যামল এবং তাঁর ভাই সজল কর আরও কয়েক ভাইয়ের সঙ্গে মিলিত ভাবে একটি বিএড কলেজ চালান বলে জানা গিয়েছে। যে বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয় সেটি শ্যামলের কিন্তু সেখানে সজল একসময় থাকতেন। বর্তমানে শ্যামল বাইরে থাকায় কলেজের সমস্ত দায়িত্বভার সজলের উপর।
সজল এবং শ্যামলের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই চাকরি দেওয়ার নাম করে কলেজ পড়ুয়া এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। যদিও এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি। বৃহস্পতিবারের এই সিবিআই অভিযান নিয়েও তিনি মুখ খুলতে নারাজ।